নকল করতে বাধা দেয়ায় কলেজ শিক্ষক কে মারধর,শিক্ষক সমাজ অপমানিত। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

  

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 16 May 2019

demo-image

নকল করতে বাধা দেয়ায় কলেজ শিক্ষক কে মারধর,শিক্ষক সমাজ অপমানিত। একুশে মিডিয়া


breakingnewsalert

এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া শিক্ষক এর মারধর নিয়ে বিভিন্ন মহল জুড়ে উৎসাহ, নিন্দার শেষ না থাকা ঘটনার মূল রহস্য নিশ্চিত করলাম সেই সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুক এর সু-ফল ব্যবহারের মাধ্যমে।
হ্যাঁ বলতেছিলাম সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া শিক্ষক এর অপদস্ত এর মূল রহস্যের কথা।পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ এলাকার বাসিন্দা ফকরুল হাসানের দেওয়া তথ্য ও ঘটনার সম্পকির্ত কতিপয় মোবাইল নাম্বারে আলাপ কালে মূল তথ্য নিশ্চিত হলাম।
প্রকৃতপক্ষে পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে কিল ঘুষি সহ অপদস্ত হলেন পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মাসুদুর রহমান।
৩৬তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডার এই প্রভাষককে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে চরমভাবে আহত করা হয়। ১২ মে এ ঘটনা ঘটলেও কলেজের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জানাজানি হয়। উল্লেখ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা ব্যক্তি প্রভাষক মাসুদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে যোগ দেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কলেজ গেট থেকে মোটরসাইকেলে করে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে অতর্কিত হামলা চালায় শিক্ষক মাসুদুর রাহমানের ওপর। তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারা হয়। ফেলে দেয়া হয় মাথার পাগড়িও।
একপর্যায়ে তিনি বেরিয়ে যেতে চাইলে পেছন থেকে এসে তাকে লাথি মারে এক যুবক। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার একজন শিক্ষকের এ ধরনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে। মারধরের শিকার শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ৬ মে এইচএসসি পরীক্ষায় সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী একাদারছে নকল করছে। এজন্য আমি দুই ছাত্রীর খাতা কেড়ে নিই। এরপর থেকে ওই দুই ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাত্র আমার নামে নানা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আসছে।
মূলত নকল ধরার জন্যই ক্ষুব্ধ হয় তারা।এরই ধারাবাহিকতায় ১২ মে দুপুরে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ সময় আমার মাথার পাগড়ি খুলে পড়ে। এছাড়া পেছন থেকে সজোরে লাথি মারে আমাকে। ওই সময় তারা আমাকে বলে তুই আর কলেজে আসবি না, কলেজে আসলে তোর হাত কেটে নেব। বাংলা বিভাগে আগুন ধরিয়ে দেব। এরপর আমার সিনিয়র শিক্ষকরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
এরপর থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমাকে কিছুদিনের জন্য কলেজে যেতে নিষেধ  করেছেন শিক্ষকরা। ছাত্রলীগের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে  চেষ্টা করেও আলাপ করা যায়নি 
সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামসুদ্দিন আহমেদ জন্নুর সাথে।
সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ এম এ কুদ্দুস বলেন, এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পালকে প্রধান করে এবং ড. ইসমত আরা ও সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ কলেজের কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এই বিষয়ে জানতে আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার সেহেরির পর একাধিক বার কল দেওয়ার পর মুঠোফোনে আলাপ হলো পাবনা সদর থানার ওসি ওবায়দুল হকের সাথে, এসময় তিনি বলেন আমরা ও ভিডিও টি সামাজিক যোগাযোগে দেখেছি।
এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ করা হলে এর সুষ্ঠু তদন্তে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি ওবায়দুল হক বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *