মো: মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:>>>
ঈদের আর বাকি কয়েক দিন।কক্সবাজার জেলার সাগর কন্যা দ্বীপ কুতুবদিয়ায় এখনো জমেনি ঈদের বাজার। বেশির ভাগ দোকান এখনো ক্রেতাশূন্য। ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন। লবণের ব্যাপক ধরপতন ও জেলেদের ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কারণে বাজার এখনো ক্রেতাশূন্য বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপড়, জুতা, প্রসাধণী, দরজি ও গয়নার পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। অন্য সময় এসব দোকানে ঈদের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যেত। প্রায় দোকানেই এ সময় ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকার জিনিস বিক্রি হয়ে থাকে। এবার একেকটি দোকানে ১০ হাজার টাকার জিনিসও বিক্রি হয়নি।
গত রোববার রাত ও গতকাল সকালে সবচেয়ে বড় দোকানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ কাপড়ের দোকানে মালিক-কর্মচারী বসে রয়েছেন। হাতে গোনা দু-একজন ছাড়া সব দোকান ক্রেতাশূন্য। একই অবস্থা ধূরুং বাজারও। কোথাও ভিড় নেই। মালিক-কর্মচারীরা গল্পগুজবে অলস সময় পার করছেন।
রবিবার রাত নয়টার দিকে বড়ঘোপ বাজার এলাকার জালাল গার্মেন্টস গিয়ে দেখা যায়, দু-একজন ক্রেতা পোশাক নেড়েচেড়ে দেখছেন। তেমন কোনো ক্রেতা না থাকায় কর্মচারীরা মোবাইলে গান দেখছেন।
এ সময় এ দোকানের কর্মচারী নাছির বলেন, লবণের ব্যাপক ধরপতন ও জেলেদের ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কারণে দোকানে কোনো বেচাবিক্রি নেই। অন্যবার এ সময় আমাদের দম ফেলার সময় থাকত না। এবার ক্রেতার অভাবে মোবাইল ও গল্প করে সময় পার করছি।
সাকের টেইলর্স এন্ড ক্লাথ ষ্টোর মালিক সাকের বলেন, ‘গত ঈদে দিনে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি ছাড়িয়ে যেত। এবার ১০ হাজার টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। ঈদ উপলক্ষে বাকিতে ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় আনা হয়েছে। বেচাবিক্রির যে ভাব, তাতে আসল টাকাও পেতে কঠিন হয়ে পড়বে।
বড়ঘোপ বাজার ব্যবস্থপনা কমিটির সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর জানান, লবণের কমে যাওয়ায় ও দীর্ঘদিনের মৎস আহরণের নিষেধাজ্ঞা পড়ায় দ্বীপবাসীরা এবার চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হবে। উপজেলার বাজারগুলোতে ক্রেতাশূণ্য রয়েছে। এখনও জমে উঠেনি ঈদের বাজার।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment