রেখা মনি, রংপুর:>>>
দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডোমারে গতবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এবার চলতি ইরি মৌসুমে দূর্যোগের কবল থেকে ফসল বাচাঁতে আগাম আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছে। ধান পাকতে আরো কয়েকদিন সময় লাগলেও ভয় আর আতঙ্কে কৃষকরা আধাপাকা ইরিধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষিবিভাগও ৮০ শতাংশ পাকাধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে।
গত বছরের ১০ইমে ডোমার উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে স্মরনকালের ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় আর শিলাবৃষ্টি। সেবার ক্ষেত থেকে একমন ধানও তুলতে পারেনি কৃষক। এবারেও আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না। যে কোন মুহুর্ত্তে আসতে পারে শিলাবৃষ্টি। তাই শিলাবৃষ্টি থেকে ক্ষেতের ধান বাচাতে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। তবে ২৮জাতের ধান ইতিমধ্যে পেকে গেছে বলে কৃষকরা জানান।
গত দুইদিন থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, ঝড়-বাতাশ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের মনে ভয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে ধান কাটতে কামলা সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়।কৃষকরা জানান, এই এলাকায় বেশিরভাগ জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান আবাদ করে কৃষক। ক্ষেতের হাইব্রীড জাতীয় ধান পুর্নাঙ্গভাবে পাকতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। কিন্তু কৃষকের তর সইছে না প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়ে দ্রুত ধান ঘরে তুলতে আধাপাকা ধান ক্ষেত হতে সংগ্রহ করছে তারা। ধান কাটার মূহুর্তে ধানক্ষেতে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়।
কৃষকরা জানান,গত দুই ইরি মৌসুমে শিলাবৃষ্টির কারনে ধান ক্ষেতেই সম্পূর্নরুপে নষ্ট হয়েছে ধান। শিলা বৃষ্টির কারণে খড়টুকুও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। কাচাঁ ধান কাটাতে কিছুটা ক্ষতি হলেও বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে আধাপাকা ধান ক্ষেত থেকে কাটতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন,গত মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবারেও আবহাওয়া ভালো না থাকায় ৮০% ধান পাকলেই কৃষকদের ধান সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। তবে ৮০% নিচে কম পাকা ধান কাটলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment