মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি-ঢাকা:>>>
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাগমারায় সরকারী হাসপাতালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বেসরকারী ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার । সরকারী হাসপাতালে সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এই সব চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সেবা নিয়ে থাকে। সরকারী হাসাপাতালের সাথেই গড়ে উঠছে নতুন নতুন ক্লিনিক। এই সব ক্লিনিকগুলোতে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন রোগের টেষ্টের জন্য এই সব ক্লিনিকের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে ডায়গোষ্টি সেন্টার। শুধু উপজেলাতেই নয় বান্দুরা, জয়পাড়া সহ অনেক স্থানেই গড়ে উঠেছে ক্লিনিক আর ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার।
এই জনপদের অনেক লোকজন প্রবাসী। প্রতিমাসে বিপুল পরিমান রেমিট্যান্স আসে। আর্থিক অবস্থা অন্যসব এলাকার চেয়ে ভাল বিধায় চিকিৎসা ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে অনেকে। কোন রকম নিয়ম নীতি পরিপালনের তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠছে। অনেকে ক্লিনিকের সেবার মান নিয়ে সাধারন মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই। যাদের অর্থ রয়েছে তারা আবার ঢাকায় চলে আসে সেবার জন্য। যাদের অর্থের অভাব তারা বঞ্চিত হচ্ছে পদে পদে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীগণ।
এই সব ক্লিনিকে ঢাকায় থেকে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসেন সেবা দিতে।
এই বিশাল জনগোষ্ঠ্যীর সরকারী চিকিৎসা বাড়ানো প্রয়োজন। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে শুধু মাত্র প্রাথমিক সেবা প্রদান করে থাকে।
নবাবগঞ্জের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য নূন্যতম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রয়োজন। শুধু একটি হাসপাতালই যথেষ্ঠ নয়- ১৪ টি ইউনিয়ন হওয়াতে আরো দুটি সরকারী হাসপাতাল প্রয়োজন। সাধারন জনগণের স্বাস্থ্য- এটি মৌলিক চাহিদা। তাই দরিদ্র, হদ দরিদ্র মানুষগুলো যাহাতে সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হতে পারে সেই দিকেই নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ।
পাশাপাশি ছাতার মতো গড়ে উঠা ক্লিনিক এবং ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারগুলোকে সেবার মানের নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ভূল চিকিৎসায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তেই থাকবে, ইতি মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই সব ক্লিনিক থেকে। সেবার মান নিশ্চিত না করে অনেকে ব্যাবসার উদ্দেশ্যে ক্লিনিক খুলে বসে আছেন, তাদেরকে নজরদারী করতে হবে, প্রয়োজনে ব্যাবস্থা নিতে হবে ।
একুশে মিডিয়া/এসইউ
No comments:
Post a Comment