একুশে মিডিয়া, স্টাফ রিপোর্টার:>>>
নরসিংদী পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে সীমা আক্তার(২৩) নামে এক গৃহবধূ কে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি প্রভাবশালী মহল হত্যা কে আত্নহত্যা বলে দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ নিহত গৃহবধূ র পরিবারের।
নিহত সীমা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর চড়পাড়া মহল্লার মোঃনাছির মিয়ার কন্যা।
অনুসন্ধান সূত্রে ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়। গত-পাঁচ বছর পূর্বে একিই মহল্লার বিল্লাল হোসেন বিলুর পুএ রুবেল ও সীমা নিজেদের পরিারের অমতে অগোচরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।এক পর্যায়ে উভয়ের পরিবার তাদের বিবাহ মেনে নেয়।সীমা গরীব পরিবারের সন্তান বিধায় ঘড় সংসার করাকালীন গৃহবধূ সীমা আক্তারের উপর অমানূষিক অত্যাচার করতো।শশুর বাড়ীর লোকজন।
স্বামী রুবেল একজন মাদক সেবনকারী।প্রায় ইয়াবা সেবনে সীমা রুবেল কে বাধা প্রদান করলে রুবেল মারধোর করে সীমাকে পিএালয়ে পাঠাইয়া দিতো। বহুবার স্থানীয় সালিশী দরবার করে সীমাকে রুবেলের সংসারে ফিরে যেতে হয়েছে।
ঘটনার দিন-গত ৩০ এপ্রিল রাতে স্বামী রুবেল ইয়াবা সেবনকালে স্ত্রী সীমা তাকে বাধা প্রদান করলে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে সীমাকে এলোপাথালী কিল ঘুষি মারতে থাকে।যা স্থানীয়রা প্রতক্ষ করেন।সীমা আক্তার কান্নাকাটি করলে ঘাতক রুবেল ও তার বড় বোন কোহিনুর সীমার নাক,মুখ চেপে ধরলে নিশ্বাষ বন্ধ হয়ে সীমা নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়ে।সীমা আক্তার মরে গেছে তা বোজতে পেরে রুবেল ও তার পরিবার পরস্পর যোগসাজসে ঘড়ের ভিতর বাঁশের ধর্ণার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় পেচিয়ে সীমার মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে।পলাশ থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্দার করে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
নিহতের বাবা মোঃনাছির বলেন-আমার মেয়ে সীমাকে কে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যা কান্ড থেকে বাচার জন্য আসামী
ও তার পরিবার টাকা দিয়ে সব মেনেজ করে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে।আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী বলেন-সীমা খুবিই সহজ সরল ভালো একটা মেয়ে ছিলো।পক্ষান্তরে রুবেল একজন চিন্হিত বখাটে মাদকসেবনকারী।
নিহতের বড় ভাই নাজমূল বলেন-সীমাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে ধর্ণার সাথে ঝুঁলিয়ে আত্নহত্যা র নাটক সাজিয়েছে রুবেল ও তারপরিবার।।রুবেল কে পুলিশ গ্রেফতার করলে সত্যিটা বেড়িয়ে আসবে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা বলেন-ময়নাতন্তের রির্পোট অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment