মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় আজ মঙ্গলবার ২১ মে সকাল থেকে জেলা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নকল পণ্য বিক্রি, খুচরা মূল্য প্রদর্শন না করা, ওজনে কারচুপি, মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ বিক্রি, নিম্মমানের মধুমতি লবণ বিক্রির অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার টাকা জরিমানা ২৪ কেজি মধুমতি লবণ ধ্বংস করা হয় এবং ১০ প্রতিষ্ঠানকে আজে বাজে পণ্য বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জেলা বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের একটি টিম।
জানাযায়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কর্তৃক ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধের দায়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৬ ধারা অনুযায়ী আজগর মাংসের দোকানকে মাংসের ওজনে কারচুপির অপরাধে ৫০০/-(পাঁচ শত) টাকা জরিমানা, সরকার বীজ ভান্ডারকে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ বিক্রয়ের অপরাধে ৫১ ধারায় ৩,০০০/-(তিন হাজার) টাকা জরিমানা, মোহাম্মদ আলি স্টোরে বিএসটিআই কর্তৃক নিম্নমান ঘোষিত মধুমতি সল্ট বিক্রয় ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয় বিক্রয়ের দায়ে ৫৬ ও ৫১ ধারায় ২৪কেজি মধুমতি লবণ বাজেয়াপ্ত ও জনসম্মুখে ধ্বংসকরণ এবং ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা জরিমানা এবং মির্জা স্টোর ও শফিউদ্দৌলা সার ডিলারকে খুচরা পন্য ও সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় যথাক্রমে ১,০০০/- (এক হাজার) ও ২,০০০/-(দুই হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়াও প্রায় ১০টির মত প্রতিষ্ঠান তথা হোটেল, মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান ও একটি পল্লী চিকিৎসা কেন্দ্রে মনিটরিং করে সতর্ক করা হয়।
অভিযান চলাকালে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং আইনটি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment