একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:>>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে সাগরপথে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে দালালদের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে রবিবার গভীর রাতে ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এ সময় জনতা ছনুয়ার এক ইউপি সদস্যকে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে আটক রোহিঙ্গাদের দালালদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের তথ্য সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করেছে এবং জড়িত মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নর-নারীদের টেকনাফস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছানো হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুপালং শরণার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ১২ দালাল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু, মহিলা, পুরুষসহ ২১জন রোহিঙ্গা নাগরিককে গত শুক্রবার রাতে ক্যাম্প থেকে বের করে নিয়ে আসে। দালালরা হলেন, ছনুয়া ১নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শফি, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, নবী হোসেন, গোলাম কাদের, সরওয়ার, মোহাম্মদ হারুন ও আহমদ উল্লাহ।
সংঘবদ্ধ হয়ে দালালেরা রোহিঙ্গা নাগরিকদের কাছ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার চুক্তিভিত্তিক ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ প্রায় ৪ লক্ষ আদায় করে নেয়। পৌঁছার পর বাকী টাকা পরিশোধের মৌখিক চুক্তি হয়। গত শনিবার রাতে ছনুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড়ে দালাল নবী হোসেন, ইসমাইল, নেজাম উদ্দিন এর বসত ঘরে রোহিঙ্গাদের রাত্রী যাপনের ব্যবস্থা করেন।
পাশাপাশি নারীদেরকে শারীরিক নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগ উঠে। প্রতিবেশি লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরেও প্রকাশ করে নি। ছনুয়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আবছার খবর পেয়ে প্রতিবেশি যুবকদের নিয়ে বিভিন্ন বসতঘরে অভিযান চালিয়ে দালালদের খপ্পর থেকে ১৭জন নারী, ১জন শিশু ও ৩জন পুরুষ উদ্ধার করে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, ছনুয়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গা নারী পুরুষদেরকে মালেশিয়া নেয়ার নাম করে দালালেরা নিয়ে আসে। জনতার সহয়তায় উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষদেরকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং দালালদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের হবে।
একুশে মিডিয়া/এসইউ
No comments:
Post a Comment