কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি আইন বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২৯তম সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি হন কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কুড়িগ্রামের সর্ব উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা ও নদী বেষ্টিত উপজেলা ভূরুঙ্গামারীর কৃতি সন্তান। আওয়ামী লীগ পরিবারে তার জন্ম। দাদা মরহুম আলহাজ্ব শামছুল হক চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করতে আসে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আলহাজ্ব শামছুল হক চৌধুরীকে একজন বিশ্বস্তকর্মী হিসেবে পরিচিত করে দেন। সেই থেকে শামছুল হক চৌধূরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে রাজনৈতিক জীবনে পথচলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু ভুরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করতে আসে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আলহাজ্ব শামছুল হক চৌধুরীকে একজন বিশ্বস্তকর্মী হিসেবে পরিচিত করে দেন। সেই থেকে শামছুল হক চৌধূরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেন ও বঙ্গবন্ধুর আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে রাজনৈতিক জীবনে পথচলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা মোতাবেক আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক (৬নং সেক্টর এর প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান) দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ওই সময় তার সঙ্গে ভাই আব্দুর রহিম মণ্ডল, ভাতিজা সাহবাজ মণ্ডল, আব্দুল হাকিম মণ্ডল কাজ করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় ভূরুঙ্গামারীতে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে শামছুল হক চৌধুরীর পরিবারের ১৪ মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্নস্থান থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মরহুম শামসুল হক চৌধুরী কুড়িগ্রাম-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ১৯৭৩, ১৯৭৯ ও ১৯৭৫ পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন।
একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ওই সময় গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শামছুল হক চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় সোনার বাংলা গড়তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। ২০০৮ সালের ৭ মে মাসে মৃত্যু বরণ করেন।
একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ওই সময় গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শামছুল হক চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় সোনার বাংলা গড়তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। ২০০৮ সালের ৭ মে মাসে মৃত্যু বরণ করেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এর পিতা নুরন্নবী চৌধুরী খোকন ভুরুঙ্গামরী উপজেলা পরিষদের (রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ এর সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনঃরায় থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০১১-অদ্যাবদি)। এর পাশাপাশি তিনি এবারেও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।
২০০১ সালে থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনঃরায় থানা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক (২০১১-অদ্যাবদি)। এর পাশাপাশি তিনি এবারেও নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এর মাতা রেজিয়া খাতুন দক্ষিণ চর ভূরুঙ্গামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শিক্ষা সমিতির সভাপতি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ভূরুঙ্গামারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভূরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির কার্যকরী সদস্য ছিলেন। শোভন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশসহ কুড়িগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে ব্যাপক সারা পড়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment