আল আমিন মুন্সী:>>>
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছেলে থাকে বিলাশ অট্রালিকায় আর শত’ বয়সী বৃদ্ধা মায়ের আশ্রয় হয়েছে ভাঙা একটি টিনের অন্ধকার ঘরে। এমন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় নরসিংদীর পলাশের এক স্থানীয় সাংবাদিককে প্রাণ-নাশের হুমকি দিয়েছে লিপি আক্তার নামে ওই বৃদ্ধা মায়ের পুত্রবধু।
শনিবার রাতে দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার নরসিংদীর পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নূরে-আলম রনির ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়ে তাকে এই হুমকি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে রোববার দুপুরে পলাশ থানায় লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেছে ওই সাংবাদিক।
সাংবাদিক রনি জানান, শনিবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী মাধ্যমে জানতে পারে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাজ ডেকারেটর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কিরণ শিকদার তার স্ত্রীর মন রক্ষা করতে নিজের তিনতলা একটি বিশাল অট্রালিকা থেকে তার বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগমকে পলাশ নতুন বাজার এলাকার আব্দুল গফুর মিয়ার একটি ভাঙা টিনের অন্ধকার ঘরে রেখে যায়।
সেখানে ওই বৃদ্ধা মাকে দেখবাল করার মতো কেউ নেই। ওই অন্ধকার ঘরে মরিয়ম বেগম মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পরে স্থানীয় ওই সাংবাদিক তার সহকর্মীদের নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।
সংবাটি ওই দিন বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশ হলেও রাতে লিপি আক্তার ফোন করে প্রকাশিত সংবাদটি বন্ধ করার কথা বলে। তা না হলে এক কোটি টাকা খরচ করে হলেও তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। এছাড়া লিপি আক্তার ফোনে ওই সাংবাদিককে আরো বলেন, আমার শাশুড়িকে আমি প্রয়োজনে জঙ্গলে রাখবো তাকে তার কি?। সে ওই বাড়িতে গেল কেন। এতো মায়া লাগলে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখুক।
এদিকে সংবাদটি নয়াদিগন্তে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নরসিংদী পুলিশ সুপারের নজড়ে আসলে তিনি এই অমানবিক ঘটনায় বৃদ্ধার ছেলে কিরণ শিকদারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। পরে পলাশ থানা পুলিশ দুপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কিরণ শিকদারকে আটক করে।
এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, বৃদ্ধা মাকে নির্জন অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখার ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সাংবাদিককে হুমকীর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment