নড়াইলে মেডিকেল অফিসারের ভুল চিকিৎসা! ৭মাসের গর্ভবর্তীর সন্তানের মৃত্যু!। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 27 June 2019

নড়াইলে মেডিকেল অফিসারের ভুল চিকিৎসা! ৭মাসের গর্ভবর্তীর সন্তানের মৃত্যু!। একুশে মিডিয়া


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল প্রতিনিধি■:>>>
নড়াইলে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ভুল চিকিৎসায় মুসলিমা বেগম নামের এক গর্ভবর্তী ৭মাসের সন্তানের মৃত্যুও অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সদর হাসপাতালে তার মৃত সন্তান সিজার করা হয়। ভূক্তভোগী মা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মোঃ ইয়ানুর রহমান নড়াইল সদরের গোবরা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল ফিসার (স্যাকমো) হিসেবে কমরত। মুসলিমা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ তুহিন ঢাকায় একটি বেসরকারী অফিসের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত।
তার বাড়ি নড়াইল সদরের রঘুনাথপুর গ্রামে। গর্ভবতীর স্বামী মোহাম্মদ তুহিন জানায়, গত ৮ জুন গর্ভবতী স্ত্রী মুসলিমা বেগম তার মায়ের সাথে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে দালালের খপ্পরে পড়ে হাসপাতালের সামনে টাউন মেডিকেলে ইয়ানুর রহমানের চেম্বারে আসেন।
সেখানে রোগির পরীক্ষা করে কতগুলো টেস্টসহ ব্যবস্থাপত্র দেন। এর কয়েকদিন পরে গর্ভবতী স্ত্রীর ভিতরে শিশুর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেলে গত শনিবার তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২৬ জুন) আল্ট্রাসোনো রিপোর্টে দেখা যায় গভের শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। তিনি বলেন, ডাক্তার নামধারী ঐ ইয়ানুর রহমান যে ঔষুধ লিখেছে তার মধ্যে ফ্রুলাক নামের একটি ঔষুধ দেয়ায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তিনি এর বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে যান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
নড়াইল সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.মিনা হুমায়ুন কবীর জানান,ঐ চিকিৎসক যে ঔষুধ লিখেছেন তার মধ্যে একটি ঔষুধ শিশুর বেঁচে থাকার জরুরী ফ্লুইড প্রশ্রাবের সাথে বের করে দেয়।
পানিশূন্য হবার ফলে শিশুর মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে বলে তার ধারনা। এ ব্যাপারে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা.মো. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী জানান,ঐ স্যাকমো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পূর্বে এ ধরনের আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাইনী রোগী চিকিৎসা দেবার তার কোন এখতিয়ার নেই। ভূক্তভোগি পরিবার আমার কাছে এসেছিল।
লিখিত অভিযোগ পেলে মেডিকেল বোর্ড গঠন কওে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক মো.ইয়ানুর রহমান একুশে মিডিয়াকে বলেন, গর্ভবতী ওই মহিলার প্রেসার এবং রক্তশূন্যতা ছিল।
এছাড়া তার পায়ে অতিরিক্ত পানি থাকার কারণে তাকে ফ্রলাক দেওয়া হয়। আমার জানা বোঝা মতে এ ওষুধের কারণে তার মৃত্যু ঘটেনি।





একুশে মিডিয়া/ইসইউ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages