মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:
লাইসেন্স নেই, সনদ নেই, নেই প্রতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা! অনুমোদনহীন ফার্মেসী খুলে ভেতরে চেম্বার সাজিয়ে ৩০০ /৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে রোগী দেখার বৈধতাই বা কি? ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি বাজার এলাকায় অদক্ষ ইউটিউব ডাক্তারদের ছড়াছড়ি।
মানহীন কোম্পানীর ঔষধ বিক্রয় সহ নিজেদের তৈরি প্রেসক্রিপশনে কিংবা রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এন্টিবায়োটিক ঔষধ বিক্রি করছেন তারা। দোহার উপজেলার বাহ্রাঘাট থেকে মুকসুদপুর ইউনিয়নের ফুলতলা পর্যন্ত ৩০ টি বাজারে দুশত ফার্মেসীর কোন বৈধতা নেই। অন্য দিকে নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নে ৮০ বাজার এলাকায় প্রায় ৫শত অবৈধ ফার্মেসীর কোন অনুমোদন নেই।
কেবল তাই নয় এলাকার নেশাখোর মাদসেবীদের কাছে নেশা জাতীয় ঘুমের ঔষধ সহ নানা প্রকার সিরাপ ২/৩গুন বেশী দামে বিক্রিও করেন তারা। এসব ডাক্তারদের মাঝে কেউ বিদেশ ফেরত আবার কেউ বা হাসপাতালের কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন কিছুদিন আগেও।
আবার কেউ জুতার দোকানদারী বা কৃষিকাজ ছেড়ে হয়েছেন ডাক্তার। রাতারাতি ফার্মেসী খুলে ইউটিউবে দেখে দেখে সেলাই করা, ছোটখাট টিউমার অপারেশন, সুন্নাতে খাৎনা সহ স্যালাইন লাগানো ইনজেকশন পুশ করা শিখে এখন রিতিমত গুরুতর রোগের চিকিৎসাও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদের অপচিকিৎসায় আর প্রেসক্রাইব করা উল্টো পাল্টা ঔষধ সেবনে এলাকার অনেকেই বিপাকে পরেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনতিবিলম্ব
জেলা প্রশাসক ও দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা সিভিল সার্জন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকা ও বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন শাখা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েন সচেতন এলাকাবাসী।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment