বাল্য বিবাহের দায়ে ভোলায় বর-কণে ও কাজীসহ ৯ জনের জেল-জরিমানা!। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 13 June 2019

বাল্য বিবাহের দায়ে ভোলায় বর-কণে ও কাজীসহ ৯ জনের জেল-জরিমানা!। একুশে মিডিয়া




মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা:>>>
ভোলায় পৃথক দু’টি বাল্য বিবাহ পড়ানোর অপরাধে বর-কণে, অভিবাবক ও কাজীসহ ৯ জনের জেল-জরিমানা প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদের মধ্যে তিন জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড, ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে ও ২ জনকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদ- প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার হোসেন বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী এ দ-াদেশ প্রদান করেন।
দ-প্রাপ্তরা হলেন কাজী মো. ইকবাল হোসেন, তার সহকারী মো. হাসান, বর মো. সজিব।
এদের মধ্যে কাজী মো. ইকবাল হোসেন সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার এলাকার সৈয়দ আহম্মদ এর ছেলে। তার সহকারী মো. হাসান একই উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মতিনের ছেলে এবং বর মো. সজিব বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
অর্থদ-প্রাপ্তরা হলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের প্রবাসী মো. মফিজুল ইসলাম ফরাজীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার, তার নবম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে কনে মোসা. ফাতেমা আক্তার মিতু, সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মো. সবুজ, মজিব উদ্দিন, মাইনুদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভোলা শহরের সামসুদ্দিন মার্কেটে অবস্থিত কাজী অফিসে বাল্য বিবাহ পড়ানোর সময় কাজি মো. ইকবাল হোসেন, তার সহকারি মো. হাসান ও বোরহানউদ্দিনের মো. সজিব (১৯), একই এলাকার নবম শ্রেণি পড়–য়া মোসা. ফাতেমা আক্তার মিতু ও তার মা নাসিমা আক্তারকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তাদের মধ্যে কাজি, তার সহকারি ও বরকে ৬ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। কনে ও তার মাকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রাম থেকে বুধবার রাতে বাল্য বিবাহ পড়ানোর সময় বর, মেয়ের বাবা ও চাচাসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে বর মো. সবুজ, মেয়ের বাবা মো. মজিব উদ্দিন, চাচা মাইনুদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনকে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদ- প্রদান করা হয়। এসময় মেয়ের বাবা বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত কন্যাকে বিবাহ দিবে না মর্মে মুচলেকা দেন।
ভোলা সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার হোসেন বলেন, সমন্বিত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ প্রকল্পের কর্মীরা ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির তথ্য পেয়ে পেয়ে এবং পুলিশের সহায়তায় ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাজি অফিস থেকে কাজিসহ ৫জন ও সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন থেকে বর ও মেয়ের বাবাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে তিন জনকে ৬ মাস করে কারাদন্ড ও বাকি ৬ জনকে সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages