একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংকে উপজেলা শাখার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।----------------------------------------------------------------------------------------
সূত্র জানা গেছে, বাঁশখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে ১ শত ৫১ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্ত রয়েছেন।----------------------------------------------------------------------------------------
তাদের মধ্যে বয়স্ক ৯৭ জন, ৩৫ জন বিধবার নারী ও ১৯ জন প্রতিবন্ধী। প্রতিমাসে বয়স্ক ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা, বিধবা ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ ৭০০ টাকা।----------------------------------------------------------------------------------------
৬ মাস অন্তর অন্তর এ ভাতা উত্তোলন করা হয়। সে হিসেবে জুলাই-ডিসেম্বর বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ প্রতিজন ৩ হাজার টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ ৪ হাজার ২শ টাকা পায়। ----------------------------------------------------------------------------------------
১০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভাতাপ্রাপ্তরা পৌর কার্যালয়ে গিয়ে তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তা বুঝে নেন সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেখানে তাদের অজ্ঞতার সুযোগে টাকার পরিমাণ খালি রেখে টিপসই নিয়ে নতুন হিসাব খোলার কারণ দেখিয়ে ভাতাপ্রাপ্তদের কাছ থেকে বইগুলো জমা নেয়। পরে তারা সেখানে সব ভাতাপ্রাপ্তদের বইয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা জমা লিখে দেন।----------------------------------------------------------------------------------------
মঙ্গলবার (১৮ জুন) জানুয়ারি-ডিসেম্বর মাসের ভাতা গ্রহণ করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভাতাপ্রাপ্তদের দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেয়। সরকার নির্ধারিত ভাতার চেয়ে কমে দেয়ায় ভাতাপ্রাপ্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তা না নিয়ে চলে আসে। সিভয়েস সুত্রে একুশে মিডিয়া রিপোর্টের আরও জানা যায়, পরে স্থানীয় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। ভাতাপ্রাপ্তরা জানান, জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভাতা বাবদ আমরা ৩ হাজার টাকা নিই। কিন্তু জমা বইয়ে আগে থেকে টিপসই নিয়ে ৪ হাজার ৫০০ টাকা লিখে রাখে।----------------------------------------------------------------------------------------
গতকাল ভাতা উত্তোলন করতে গেলে আমাদের দেড় হাজার টাকা ভাতা দেয়। কিন্তু টাকা কম দেয়ায় আমরা তা নিই নি। পরে আমাদের কাউন্সিলর এসে এ বিষয়ে উপজেলায় অভিযোগ দেয়।----------------------------------------------------------------------------------------
বাঁশখালী পৌরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রোজিয়া সোলতানা রুজি জানান, বিগত (জুলাই- ডিসেম্বর) তিন হাজার টাকা দেওয়া হলেও বইগুলোতে লিখে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। পৌর কার্যালয়ে ভাতা গুলো তৎকালিন ম্যানেজার ও তাদের ব্যাংকের অফিসারেরা ভাতা প্রাপ্তদের কাছে নগদে হস্তান্তর করে।----------------------------------------------------------------------------------------
তিনি জানান, পাসকৃত বই গুলোতে নতুন হিসাব খোলার নামে বই গুলো জমা নেয়, পরর্বতীতে বইগুলো ৪৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সীল মারে ব্যাংক। তবে ভাতাভোগীরা বেশীর ভাগ অশিক্ষিত হওয়ায় সুযোগ টি কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। তবে কে বা কারা এই গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের টাকা আত্বসাৎ করল তা তদন্ত পূর্বক খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা ধরকার।----------------------------------------------------------------------------------------
বাঁশখালী উপজেলা সোনালী ব্যাংক লিঃ ম্যানেজার রাশেদ নুর চৌধুরী জানান, আমি জানুয়ারী মাসে অত্র ব্যাংকে যোগদান করেছি। আমি যোগদান করার আগেই তাদের মধ্যে ভাতাগুলো বিতরণ করা হয়। তবে ব্যাংক কর্তৃক ভাতা প্রাপ্তদের মাঝে প্রতিজন ৪৫০০ টাকা করে দেওয়ার সীল যুক্ত ডকুমেন্ট আমাদের হাতে রয়েছে। তারা টাকা গুলো তখন না পেলে তাদের পাস বই গুলোতে টিপ সই দিল কেন? প্রথমে দেড় হাজার টাকা বাড়তি দেওয়া হয়েছিল।এটা তাদের প্রত্যেক জনের বইয়ে লেখা রয়েছে।----------------------------------------------------------------------------------------
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, ভাতাভোগীদের অভিযোগ হাতে পেয়েছি,তদন্ত পূর্বক বিষয়টি খুঁজে বের করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।----------------------------------------------------------------------------------------
একুশে মিডিয়া/এমএসএ----------------------------------------------------------------------------------------
No comments:
Post a Comment