তিস্তার ভাঙনে সুন্দরগঞ্জে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 12 June 2019

তিস্তার ভাঙনে সুন্দরগঞ্জে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিস্তার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে রাস্তাঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি ও দুই শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের ঠাকুর ডাঙ্গী গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। নদী ভাঙনের তীব্রতার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।  
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মূল তিস্তায় পলি জমে মূল নদী একাধিক শাখায় পরিণত হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে  ওইসব শাখা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের কারনে উজানের ভাঙনে তিস্তার বালু চরের আবাদি বিভিন্ন ফসলের জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে বেগুন, মরিচ,পোটল, করলা, শসা, ঢেড়স, পাটসহ নানাবিধ ফসল রয়েছে। কিন্তু নদীর ভাঙনের কারণে সেসব ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারছে না। কথা হয়, চন্ডিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরডাঙ্গী গ্রামের আবুল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলের লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় নদী ভাঙনের কথা নয়। অথচ গত চার মাস থেকে দফায় দফায় নদীতে ভাঙন চলছে। যার কারণে চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্রায় হাজার বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। চরের মানুষ শাকসবজির আবাদ করে ৬ মাস সংসার চালায়। কিন্তু এ বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা শাক সবজি ঘরে তুলতে পারছে না। তিনি জানান, তার দুই বিঘা জমির তোষাপাট ও এক বিঘা জমির পোটল ক্ষেত নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। 
চন্ডিপুর  ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া জানান- ড্রেজিং করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ঠিক রাখা ছাড়া রোধ সম্ভব নয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি জানেন, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদীভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। তবে ভাঙন ঠেকাতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে গত ২ মে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার তিস্তানদীর বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন তিস্তা নদীকে রক্ষা এবং ভাঙন রোধ করতে হলে নদীর গতিপথ একমুখি করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages