মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:>>>
ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া,রাইপাড়া ও সুতারপাড়া ইউনিয়নের আংশিক অংশ নিয়ে ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পৌরবাসীর ভোটাধিকারের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিলো দোহার পৌরসভা।
এরপর দোহার পৌরসভার সীমানা জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন মামলা হওয়ায় ১৯ বছর আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।এখন ইই রিট পিটিশন মামলা উচ্চ আদালত হইতে বাদী কতৃক প্রত্যাহার হওয়াতে পৌর নির্বাচনে আর কোন বাধা রইল না।
পৌরসভা সুত্রে জানা যায়,২০০০ সালের পরবর্তীতে পৌরসভার সিমানা ধরা হয় ২১.১২ কি.মি. যার মোট জনসংখ্যা ৭১হাজার ৩৬২ জন।পুরুষ ভোটার ৩৫,০২৪ জন(৪৯.০৮/),মহিলা ভোটার ৩৬৩৩৮ জন(৫০.৯২/)।
পরবর্তীতে দোহার পৌরসভার সিমানা ও কর বাড়ানোর তাগিদপত্র দিলে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি ও ডা: আব্দুস সোবহান মিলে পৌরসভার সীমানা নিয়ে হাইকোটে রিট করেন।সেই রিট পিটিশন মামলায় ১৯ বছর পাড় হলেও কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
ফলে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ রাস্তা-ঘাট,ব্রিজ-কালভাটের আংশিক কিছুটা উন্নয়ন হলেও নির্বাচন প্রতিবন্ধকতায় আটকে থাকে দোহারের প্রথম শ্রেনীর মর্ষাদা সম্পূর্ন পৌরসভার উন্নয়ন বরাদ্ধ।
পৌর নির্বাচন বিষয়ে কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন প্রশ্ন দোহার উপজেলার সাধারন জনগনের? বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার ফলাও করে সংবাদ প্রকাশের পর সম্প্রতি ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ)আসনের সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সুদৃষ্টি পড়ে।
ফলে তার একান্ত প্রচেষ্টায় দোহার পৌরসভার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমানের নির্দেশে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন দোহার পৌরসভার সিমানা জটিলতার কারন দেখিয়ে উচ্চ আদালতে রিটকারীদের নিয়ে আদালত কতৃক পিটিশন মামলা প্রত্যাহার করেন।
এর ধারাবাহিকতায় পৌর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হয়।ফলে পৌর নির্বাচনের আগে পৌর সীমানা পুন:নিধারন করেন দোহার পৌরসভা প্রশাসন ও দোহার উপজেলা প্রশাসন। সর্বশেষ এই নিয়ে গত শনিবার দুপুরে ঢাকা-১ আসনের সাংসদ সালমান এফ রহমানের গুলশানস্থ সায়মন টাওয়ারের সভাকক্ষে সিমানা নিধারন নিয়ে পৌরবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় হয়।
মতবিনিময় সভায় পৌরসভার নতুন সীমানার পরিধি নিয়ে মুক্ত আলোচনায় সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পৌরসভার নতুন সীমানার পরিধি তুলে ধরেন দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন।তিনি বলেন নতুন সীমানায় পুরনো অনেককিছুই বাদ দিয়ে দোহার পৌরসভার সীমানা নির্ধারন করা হয় ১৬.৭৯ কি.মি.।
সভায় এই নতুন সীমানা নিয়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন পৌরবাসীরা।উপস্থিত অনেকে এসময়ে অভিযোগ করেন পৌর এলাকায় প্রতিবছর ভূমি কর বৃদ্ধি হচ্ছে। জমির মূল্যের সাথে কর দিতে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।পদ্মা নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় অনেক নদী ভাঙ্গন অসহায় মানুষ বাড়ি করতে চায় এই এলাকায়। কিন্তুু জমির দাম আকাশ চুম্বি,তার ঊপর রেজিস্ট্রি খরচের কারনে কেউ প্রয়োজন হলেও জমি বিক্রি বা ক্রয় করতে পারছে না
ফলে জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রয়েছে।বিষয়টিতে ঢাকা-১ আসনেসর সাংসদ সালমান এফ রহমানকে সু-নজর রাখতে অনুরোধ জানান তারা।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মশিউর রহমান,দোহার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.সুজাহার বেপারী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা ইসলাম বিথী,দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সাধারন সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার,কেন্দ্রীয় মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনার কলি পুতুল,ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জাহাজ শিল্পপতি আমির কোম্পানী, পৌর সভার কাঊন্সিলরবৃন্দ, ঢাকা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মাসুদ মোল্লা প্রমুখ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment