![]() |
মোঃ
জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:>>>
একটি কুচক্রীমহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে, রক্ত
লাগবে। এটা সম্পূর্ণ গুজব। এইসব গুজবে কেউ কান দিবেন না। গুজবে বিভ্রান্ত
হবেন না। উল্টো গুজব রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। বৃহস্পতিবার
বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জে সচেতনতামূলক সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা
জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান এসব কথা বলেন।গুজব
ও গণপিটুনিতে হত্যার প্রেক্ষাপটে নবাবগঞ্জ থানার সভাকক্ষে দোহার ও
নবাবগঞ্জ থানা যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করেন। সভায় দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি,
রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান
অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আরও বলেন, দেশ যখন উন্নতির দিকে এগুচ্ছে আর
বহুল আলোচিত দেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু যখন তৈরীর প্রায় শেষ পর্যায়ে ঠিক
তখনই একটি কুচক্রীমহল উন্নয়নকে বাধাঁ গ্রস্থ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা
বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কাউকে গলাকাটা বা ছেলে ধরা বলে সন্দেহ হলে
তাকে আটক করে নিকটস্থ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করবেন।
আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিবে।
তিনি
আরো বলেন, এখন আবার বিদ্যুৎ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। তিনদিন বিদ্যুৎ থাকবে
না এমন গুজব ছড়িয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ২/১ ঘন্টা লোডশেডিং হতে পারে এতে
বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। গুজব রোধে পুলিশের পক্ষ
থেকে মাইকিং করা হচ্ছে, স্কুল কলেজের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গুজব রুখতে
আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সভায় আরো
উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত)
মোহাম্মদ গোলাম নবী, দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনে,
ঢাকা জেলা দক্ষিন (অপরাধ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুম ভূইয়া, আওয়ামীলীগের
জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
মো. আলমগীর হোসেন,নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ
ঝিলু, ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেল, ইউপি চেয়ারম্যান মো ইব্রাহিম
খলিল, আবেদ হোসেন, হিল্লাল মিয়া, নন্দলাল সিং প্রমুখ।
সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক আজ শুক্রবার ২৬/০৭/২০১৯ একুশে মিডিয়া’য় প্রকাশিত সংবাদ।
আপনার কোন মতামত থাকলে নিউজের নিচে কমেন্ট স্থানে কমেন্ট করুন।
একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার জন্য
ধন্যবাদ
একুশে মিডিয়া পরিবার।
No comments:
Post a Comment