ব্রহ্মপুত্র তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত।। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 14 July 2019

ব্রহ্মপুত্র তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত।। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ত্রাণ বিতরণ। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধার ৪টি উপজলার ১১৩টি গ্রাম বন্যা কবলিত। গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতায়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সুদরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১১৩টি গ্রামের নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার বিভিন্ন ফসলী জমি ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। ফলে বন্যা কবলিত এলাকার যোগাযাগ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি  সদর উপজলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় আজ রবিবার সকালে বাঁধের ১শ ফিট অংশ ধসে গেছে। ফলে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৭ শতাধিক বাড়িঘর ও ওইসব এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া সুদরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ও পাড়ার চর এলাকার প্রায় ৪শ’ পরিবার আকস্মিকভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদের মধ্য বাচাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত এলাকার ৩৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। 
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ৪টি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং পানিবন্দী  নিরাশ্রয় মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয় কেদ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরী পরিস্থিতি মোকাবলায় বন্যা কবলিত ৪ উপজেলায় ২৪০ ম. টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাপাসিয়া ইউনিয়ন বন্যা দুর্গত ১শ’ পরিবারের মধ্য শুকনা খাবার ও বলকা ইউনিয়নে ১শ’ পরিবারকে ২০ কজি করে চাল বিতরণ করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) এসময় তিনি হরিপুুর, বেলকা ও ওয়াপদা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ পরিদর্শন করেন।  অপরদিকে সদর উপজলার কামারজানি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩শ’ ৩০টি পরিবারের মধ্য ২০ কজি চাল এবং ৩০ পরিবারকে শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। শুকনা খাবারের মধ্য ছিল মিনিকট চাল, সায়াবিন তেল, মসুরের ডাল, নুডুলস, চিনি ও লবণ ইত্যাদি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি., তিস্তার ২২ সে.মি এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে করতায়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার সামান্য নিচে রয়েছে।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages