![]() |
ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে গতকাল তিনজন নিহত আর অন্তত আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে চারজনই নারী। শুক্রবার নগরীর কয়েরদাঁড়ায়, মিজানের মোড়ে, রবিবার বিনোদপুুর চিপরে প্রচারণা চালাইতে গিয়ে ৩ জন আহত ও গাড়ি ভাংচুর, নওগাঁয় ছেলেধরা সন্দেহে ছয়জনকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে গতকাল তিনজন নিহত আর অন্তত আরো পাঁচজন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে চারজনই নারী। শুক্রবার নগরীর কয়েরদাঁড়ায়, মিজানের মোড়ে, রবিবার বিনোদপুুর চিপরে প্রচারণা চালাইতে গিয়ে ৩ জন আহত ও গাড়ি ভাংচুর, নওগাঁয় ছেলেধরা সন্দেহে ছয়জনকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েকদিনে দেশটিতে ছেলেধরা সন্দেহে এমন বেশ কয়েকটি গণপিটুনির খবর সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ ওই এলাকায় অনেক দিন ধরে বসবাস করতেন।
কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কিন্তু অভিভাবকদের সন্দেহ হওয়ায, তাদেরও বেধরক পেটানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এমনকি গতকাল এক নারী তার বাচ্চার ভর্তির তথ্য জানতে স্কুলে এসে ছেলেধরা সন্দেহে জনতার পিটুনিতে নিহত হন।
কিন্তু হঠাৎ করে দেশব্যাপী এই গণপিটুনির ঘটনা কেন ঘটছে। মানুষের এতো অসন্তোষের কারণ কি? আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতা সহিংস মানসিকতার জন্য দাযী।
মব সাইকোলজি মনোরোগবিদ মেহতাব খানম এই গণপিটুনির মানসিক প্রবণতাকে “মব সাইকোলজি” হিসেবে উল্লেখ করেন।
যখন একটি সমাজে নিন্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় তখন তারা এক ধরণের মানসিক অবসাদে ভোগে। সেই থেকেই মানুষের মধ্যে এ ধরণের সহিংসতা দেখা দেয়।
মিজ খানম বলেন, “মানুষ ইদানীং ছেলেধরার অনেক খবর পডছে, দেখছে। তো এই বিষযটা তার মধ্যে একধরণের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। এ ব্যাপারে যখন সে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তখন তার মধ্যে মানসিক অবসাদ তৈরি হয। তখন মানুষ পেটাতে দেখলে সে তার ওই বেসিক ধারণা থেকে ক্রোধ বা রাগ ঝাড়তে নিজেও সহিংস হয়ে ওঠে।” সব সাইকোলজির বৈশিষ্ট্য হল, যারা গণপিটুনি দেয়, তাদের উচিত অনুচিত বোঝার মতো বিবেক কাজ করেনা। কেউ সত্যতা যাচাই-এর চেষ্টা করেনা।
তারা জানতেও চাযনা কি কারণে মারামারি হচ্ছে। তারা তাৎক্ষণিক সেখানে অংশ নিয়ে তাদের ক্রোধের বহি:প্রকাশ ঘটায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠছে বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
বিচারহীনতা অপরাধ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই গণপিটুনির পরিস্থিতিকে তিনটি উপাদানে ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযরে ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক খন্দকার ফারহানা রহমান।
সেগুলো হল: পুলিশ, আদালত এবং কারাগার।
ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের এই তিনটি উপাদান সমাজে অনুপস্থিতিকে এমন সহিংসতা ছডরিয়েপডার অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মিজ রহমান বলেন, “বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও ডাকাত সন্দেহে অনেক মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে মানুষের আস্থা নেই। তারা মনে করে এই লোকটাকে ছেড়ে দিলে পরে তাকে আর আইনের আওতায় এসে সাজা দেযা সম্ভব হবেনা। এজন্য তারা আইন হাতে তুলে নিচ্ছে।”
“দেখা গেছে যে পুলিশ অপরাধীদের আটক করলেও আদালত তাদের খালাস দিয়েদিয়েচ্ছে বা জামিন মঞ্জুর করছে। আবার আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারলেও পুলিশ তাদের আদালতের সামনে আনতে পারছেনা।”
এর পেছনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য, মানসিক অস্থিরতা এবং মাদকাসক্তিসহ নানা কারণ জডতি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা বাডানোর প্রযয়োজন বলে মনে করেন মিস্টার আহমেদ।
তার মতে, শুধুমাত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই পরিস্থিতি বদলাবেনা। এজন্য প্রযােজন সামাজিক অগ্রগতির জাযগাগুলো সুসংগঠিত করা।
যেন সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্মান ও সহনশীলতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
বর্তমানে ছেলেধরার যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর জেরে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল হুদা,
“এটা সত্যি যে ছেলেধরা বিষযটি মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ছেলে মেয়ে হারিয়ে গেলে একটি পরিবারের ওপর দিয়ে কি ঝড বয়েযায় সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই বোঝে। সে কারণেই হযতো লোকজনের বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এখন এটা গুজব নাকি সত্যি সেটা যাচাই করবে আদালত।”
“তাই বলে আইন তো নিজের হাতে নেযা যাবে না। আতঙ্ক তৈরি হলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হযে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিজেদের হাতে তুলে নেযা কোন সময সমর্থনযোগ্য হবেনা।”
এমন অবস্থায আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হযে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এজন্য গোযন্দো ইউনিটের আরও সক্রিয় হওযা প্রযয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
“পুলিশ বাহিনীর কাজ হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে, এলাকা ভিত্তিতে তৎপর হয়ে কাজ করা, খোঁজখবর রাখা এবং প্রযয়োজন অনুযাযী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেযা।”
“এজন্য ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্সকে আরও কঠোর হতে হবে। কোথায এ ধরণের ঘটনা হতে পারে বা হচ্ছে, কোথায এ ধরণের অপরাধ প্রবণতা আছে, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রযােজন।”
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
কিছুদিন আগে ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া গুজবের কারণে বেশ কযকেটি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
এরপর সরকারি বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ নেযা হয। সেইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমগুলো গুজব ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা নেয।
এ ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রযয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপরেও জোর দেন তিনি।
“উন্মত্ত জনতা যখন পিটিয়ে কাউকে মেরে ফেলে তখন সেই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়না। ফলে এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হাতে নেয়াটাই জরুরি। আর সামাজিক সচেতনতা বিস্তার তারই একটা অংশ। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেযার একটা অংশ হিসেবে এই বিষযটিও আসবে।”
“হঠাৎ একটা পোস্ট দেখেই উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়া অযৌক্তিক। এসব তথ্য দেযার আগে, সেটার সত্যতা যাচাই বাছাই করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাল খারাপ দুটাই আছে। তাই এটাকে হুট করে বন্ধ করে দেয়াও সম্ভব না। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গুলো সচেতনতায় কাজ করতে পারে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ ওই এলাকায় অনেক দিন ধরে বসবাস করতেন।
কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কিন্তু অভিভাবকদের সন্দেহ হওয়ায, তাদেরও বেধরক পেটানো হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এমনকি গতকাল এক নারী তার বাচ্চার ভর্তির তথ্য জানতে স্কুলে এসে ছেলেধরা সন্দেহে জনতার পিটুনিতে নিহত হন।
কিন্তু হঠাৎ করে দেশব্যাপী এই গণপিটুনির ঘটনা কেন ঘটছে। মানুষের এতো অসন্তোষের কারণ কি? আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতা সহিংস মানসিকতার জন্য দাযী।
মব সাইকোলজি মনোরোগবিদ মেহতাব খানম এই গণপিটুনির মানসিক প্রবণতাকে “মব সাইকোলজি” হিসেবে উল্লেখ করেন।
যখন একটি সমাজে নিন্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আতঙ্ক বা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয় তখন তারা এক ধরণের মানসিক অবসাদে ভোগে। সেই থেকেই মানুষের মধ্যে এ ধরণের সহিংসতা দেখা দেয়।
মিজ খানম বলেন, “মানুষ ইদানীং ছেলেধরার অনেক খবর পডছে, দেখছে। তো এই বিষযটা তার মধ্যে একধরণের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। এ ব্যাপারে যখন সে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা তখন তার মধ্যে মানসিক অবসাদ তৈরি হয। তখন মানুষ পেটাতে দেখলে সে তার ওই বেসিক ধারণা থেকে ক্রোধ বা রাগ ঝাড়তে নিজেও সহিংস হয়ে ওঠে।” সব সাইকোলজির বৈশিষ্ট্য হল, যারা গণপিটুনি দেয়, তাদের উচিত অনুচিত বোঝার মতো বিবেক কাজ করেনা। কেউ সত্যতা যাচাই-এর চেষ্টা করেনা।
তারা জানতেও চাযনা কি কারণে মারামারি হচ্ছে। তারা তাৎক্ষণিক সেখানে অংশ নিয়ে তাদের ক্রোধের বহি:প্রকাশ ঘটায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠছে বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।
বিচারহীনতা অপরাধ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই গণপিটুনির পরিস্থিতিকে তিনটি উপাদানে ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযরে ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক খন্দকার ফারহানা রহমান।
সেগুলো হল: পুলিশ, আদালত এবং কারাগার।
ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের এই তিনটি উপাদান সমাজে অনুপস্থিতিকে এমন সহিংসতা ছডরিয়েপডার অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মিজ রহমান বলেন, “বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও ডাকাত সন্দেহে অনেক মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কারণ দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরে মানুষের আস্থা নেই। তারা মনে করে এই লোকটাকে ছেড়ে দিলে পরে তাকে আর আইনের আওতায় এসে সাজা দেযা সম্ভব হবেনা। এজন্য তারা আইন হাতে তুলে নিচ্ছে।”
“দেখা গেছে যে পুলিশ অপরাধীদের আটক করলেও আদালত তাদের খালাস দিয়েদিয়েচ্ছে বা জামিন মঞ্জুর করছে। আবার আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে পারলেও পুলিশ তাদের আদালতের সামনে আনতে পারছেনা।”
এর পেছনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য, মানসিক অস্থিরতা এবং মাদকাসক্তিসহ নানা কারণ জডতি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা বাডানোর প্রযয়োজন বলে মনে করেন মিস্টার আহমেদ।
তার মতে, শুধুমাত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই পরিস্থিতি বদলাবেনা। এজন্য প্রযােজন সামাজিক অগ্রগতির জাযগাগুলো সুসংগঠিত করা।
যেন সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্মান ও সহনশীলতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
বর্তমানে ছেলেধরার যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর জেরে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল হুদা,
“এটা সত্যি যে ছেলেধরা বিষযটি মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ছেলে মেয়ে হারিয়ে গেলে একটি পরিবারের ওপর দিয়ে কি ঝড বয়েযায় সেটা শুধু ভুক্তভোগীরাই বোঝে। সে কারণেই হযতো লোকজনের বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। এখন এটা গুজব নাকি সত্যি সেটা যাচাই করবে আদালত।”
“তাই বলে আইন তো নিজের হাতে নেযা যাবে না। আতঙ্ক তৈরি হলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হযে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিজেদের হাতে তুলে নেযা কোন সময সমর্থনযোগ্য হবেনা।”
এমন অবস্থায আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হযে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এজন্য গোযন্দো ইউনিটের আরও সক্রিয় হওযা প্রযয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
“পুলিশ বাহিনীর কাজ হবে, এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে, এলাকা ভিত্তিতে তৎপর হয়ে কাজ করা, খোঁজখবর রাখা এবং প্রযয়োজন অনুযাযী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেযা।”
“এজন্য ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্সকে আরও কঠোর হতে হবে। কোথায এ ধরণের ঘটনা হতে পারে বা হচ্ছে, কোথায এ ধরণের অপরাধ প্রবণতা আছে, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রযােজন।”
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
কিছুদিন আগে ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া গুজবের কারণে বেশ কযকেটি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
এরপর সরকারি বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ নেযা হয। সেইসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমগুলো গুজব ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা নেয।
এ ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রযয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপরেও জোর দেন তিনি।
“উন্মত্ত জনতা যখন পিটিয়ে কাউকে মেরে ফেলে তখন সেই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়না। ফলে এক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হাতে নেয়াটাই জরুরি। আর সামাজিক সচেতনতা বিস্তার তারই একটা অংশ। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেযার একটা অংশ হিসেবে এই বিষযটিও আসবে।”
“হঠাৎ একটা পোস্ট দেখেই উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়া অযৌক্তিক। এসব তথ্য দেযার আগে, সেটার সত্যতা যাচাই বাছাই করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাল খারাপ দুটাই আছে। তাই এটাকে হুট করে বন্ধ করে দেয়াও সম্ভব না। এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গুলো সচেতনতায় কাজ করতে পারে।”
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment