গাজীপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ রাজশাহীতে উদ্ধার। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 11 July 2019

গাজীপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ রাজশাহীতে উদ্ধার। একুশে মিডিয়া


ডাঃ মোঃ হাফিজুুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
মেয়েটি বলছে, ১৩ জনের একটি দল তারা তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে গাজীপুর থেকে রাজশাহী নিয়ে আসে। মাইক্রোবাস থেকে লাফ দিয়ে সে পালিয়ে বাঁচি। অন্য দুজনকে নিয়ে গেছে অপহরণকারীরা। কিন্তু পুলিশ তার এ বক্তব্যের তেমন কোন সত্যতা পাচ্ছে না। ফলে এই ‘অপহরণের’ ঘটনা নিয়ে ধন্ধে পড়েছে রাজশাহীর পুলিশ।
বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী মোড়ের একটি ফার্মেসির দোকানের সামনে গিয়ে বসে পড়ে ১৪ বছরের ওই মেয়েটি। মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শান্তনগর এলাকায় থাকেন। স্থানীয় মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দমদমা গ্রামে। মেয়েটির বাবা-মা গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

ফার্মেসি দোকানে গিয়ে মেয়েটি বলে, তাকে এবং তার স্কুলের আরও দুই ছাত্রীকে সকালে স্কুল যাওয়ার পথে জোর করে সাদা রঙের একটি বড় মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। এরপর তারা অচেতন হয়ে পড়ে। রাজশাহী আসার পর তার জ্ঞান ফিড়ে। তালাইমারী মোড়ে গাড়িটি যানজটে পড়লে সে লাফ দেয়। তবে অপর দুই স্কুলছাত্রীকে গাড়িতে করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। তারাও তার মতো স্কুলের ইউনিফরম পরে আছে। আর গাড়িতে অন্তত ১৩ জন অপহরণকারী রয়েছে বলে জানায়ন সে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মতিহার জোনের উপ-কমিশনার সাজিদ হোসেন ও মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদেরকেও একই কথা বলে মেয়েটি। তখন রাজশাহীর প্রতিটি চেকপোস্টে সাদা রঙের মাইক্রোবাস তল্লাশি শুরু হয়। একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয় গাজীপুর জেলা পুলিশকে।
গাজীপুর পুলিশ বলছে, তিন স্কুলছাত্রীর অপহরণের মতো কোনো ঘটনার খবর তারা পাননি। ঘটনাটি তাদের কাছে রহস্যজনক। কারণ, রাজশাহীতে উদ্ধার মেয়েটি আরও যে দুই ছাত্রীর কথা বলেছে তারা অপহরণের শিকার হয়নি। ওই ছাত্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বৃহস্পতিবার তারা ক্লাস করেছে।
রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, মেয়েটির কথায় আমরা দ্বিধা দ্বন্ডে পড়ে গেছি। সে তার কথায় এখনও অনঢ় রয়েছে। বলছে, তাদের তিনজনকে অপহরণ করে আনা হয়। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুশ জানান, মেয়েটির ভাষ্য অনুযায়ী রাজশাহীর প্রতিটি চেকপোস্টে সাদা রঙের মাইক্রোবাস তল্লাশি করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। এখন উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। শ্রীপুর থানায় অপহরণের যে মামলা দায়ের হয়েছে তার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী এসে তাকে নিয়ে যাবেন।




একুশে মিডিয়া/এসইউ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages