![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিরাজী শওকত সালেহীন বলেন, ১০৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ধার্যদিনে শুনানির সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীসহ ৬০ জন আসামীকে আদালতে হাজির হন।
এ মামলার ১১০ জন আসামী ছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। আর ৪৪ জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর আবু সেলিম বলেন, এ মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ্য রয়েছে। তার সঙ্গে বলা আছে আরও ১৫ থেকে ২০ জন। সে অনুযায়ী বাদির কথা মত ৫৫ জন আসামী হয়। কিন্তু মামলায় ১১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিপত্য ছাড়া যাবে না বলে শিবির নেতাকর্মীদের হুকুম দিয়েছিল। তাই তাকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। বাকিরা হত্যার আসামী। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে সাঈদী নিজেকে নিন্দোষ দাবি করেছেন।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। রাতভর হলে হলে ছাত্র শিবিরের এই হামলা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ টেনে হিচড়ে নিয়ে গিয়ে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়। এছাড়াও শিবিরের ক্যাডারেরা ছাত্রলীগের চার নেতার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের হামলায় আহত হয় আরো ৪০ জন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শিরাজী শওকত সালেহীন বলেন, ১০৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ধার্যদিনে শুনানির সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীসহ ৬০ জন আসামীকে আদালতে হাজির হন।
এ মামলার ১১০ জন আসামী ছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। আর ৪৪ জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ও রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর আবু সেলিম বলেন, এ মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ্য রয়েছে। তার সঙ্গে বলা আছে আরও ১৫ থেকে ২০ জন। সে অনুযায়ী বাদির কথা মত ৫৫ জন আসামী হয়। কিন্তু মামলায় ১১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিপত্য ছাড়া যাবে না বলে শিবির নেতাকর্মীদের হুকুম দিয়েছিল। তাই তাকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। বাকিরা হত্যার আসামী। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে সাঈদী নিজেকে নিন্দোষ দাবি করেছেন।
![]() |
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তৎকালিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদি হয়ে শিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মতিহার থানায় ফারুক হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ এ মামলার তদন্ত করে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারী আলী আহসান মুজাহিদী, নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ এ মামলার তদন্ত করে ১১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে।
এদিকে, সাঈদীকে আদালতে তোলাকে কেন্দ্র করে বুধবার থেকেই রাজশাহীর আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুরো আদালত চত্বরকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। আদালত চত্বরের সবগুলো প্রবেশমুখে তল্লাশি ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয় হয়নি।
এদিকে, সাঈদীকে আদালতে তোলাকে কেন্দ্র করে বুধবার থেকেই রাজশাহীর আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুরো আদালত চত্বরকেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। আদালত চত্বরের সবগুলো প্রবেশমুখে তল্লাশি ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয় হয়নি।
সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক আজ বৃহস্পতিবার ২৫/০৭/২০১৯ একুশে মিডিয়া’য় সংবাদ।
আপনার কোন মতামত থাকলে নিউজের নিচে কমেন্ট স্থানে কমেন্ট করুন।
একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার জন্য
ধন্যবাদ
একুশে মিডিয়া পরিবার।
No comments:
Post a Comment