একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :>>>
ঝিনাইদহ
মহেশপুর উপজেলার সিমান্ত এলাকার ৩টি বাজার ও গ্রাম থেকে জেলা কাস্টমসের
বিশেষ অভিযানে নকল ব্যান্ডরোলের ৪ বস্তা বিড়ি আটক করা হয়েছ।
জানা
গেছে ২২ জুলাই ঝিনাইদহ জেলা কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল হাই এর
নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পেরে গত ২২
জুলাই বিকালে মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউপির ঘোষ পুর গ্রামের আব্দুল খালেকের
পুত্র হেলাল উদ্দিনের বাস গৃহের মধ্য থেকে নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত প্রায় ১০
হাজার শলাকা বিপুল বিড়ি আটক করে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে এক ব্যক্তি বলেন
হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার শ্যামকুড় ইউপির পদ্মপুকুর গ্রামের
রোমজান আলীর পুত্র সোহেল মিয়া ও রুবেলের নিকট থেকে এই বিড়ি ক্রয় করে নেপা
বাজারের বিভিন্ন দোকানে কম মুল্যে বিক্রি করে আসছে।
এছাড়া কাস্টমস টিম নেপা
বাজারে এক দোকান থেকে ৫ হাজার শলাকা করিম বিড়ি, জিন্নানগর বাজারে রাস্তার
উপর থেকে এক ভ্যান চালকের নিটক থেকে ৬৪ হাজার শলাকা কল্পনা বিড়ি ও সামন্তা
বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আলী কদরের দোকান থেকে ৩২ হাজার শলাকা আলম বিড়ি আটক
করে। সর্ব মোট ৪ টি কোম্পানির ১ লক্ষ ২০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত
বিড়ি আটক করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় একটি কু-চক্রি সেন্ডিকেট চক্র সরকারি
ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়ার ভেরা মারা ও রংপুর থেকে উক্ত নকল ব্যান্ডরোল
যুক্ত বিড়ি নিয়ে এসে মহেশপুর উপজেলার সিমান্তের বাজার গুলোতে কম মুল্যে
কোটি কোটি শলাকা বিড়ি বিক্রি করে তারা কালো টাকার পাহাড় গড়ছে। অন্যদিকে
আয়কর প্রদানকারি কোম্পাপানী গুলো তাদের বিড়ি বাজার জাত করতে না পেরে
মারাক্তক ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে।
এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার
রাজস্ব। এব্যাপারে ভুক্তভোগী মহল সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু
হস্তক্ষেপ কামনা করে ওদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জোর দাবী জানাচ্ছে।
উল্লেখ জেলা কাস্টমস গত ১৭ জুলাই মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউপির লেবুতলা
বাজারে অভিযান চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোলের ৪ বস্তা আলম বিড়ি আটক করে থানায় জমা
দিয়েছিল।
সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক আজ বুধবার ২৪/০৭/২০১৯ একুশে মিডিয়া’য় সংবাদ।
আপনার কোন মতামত থাকলে নিউজের নিচে কমেন্ট স্থানে কমেন্ট করুন।
একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার জন্য
ধন্যবাদ
একুশে মিডিয়া পরিবার।
No comments:
Post a Comment