ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আট আসামি রবিবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
রোববার দুপুরে পাবনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এ হাজির হয়ে তারা জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক রোস্তম আলী তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন যাবজ্জীবন ও তিনজন ১০ বছর কারাদ-প্রাপ্ত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী আখতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, গত ৩ জুলাই ওই মামলার রায়ে নয়জনের মৃত্যুদ-, ২৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৩ জনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী। এ মামলায় পলাতক ১৩ আসামির মধ্যে আটজন রোববার আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পণকারী আসামীরা হলেন-যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আছির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম আমিন, আব্দুল গফুর গার্ডের ছেলে মো রবিউল ইসলাম রবি, জালাল গার্ডের ছেলে মামুন হোসেন, পিয়ার আলীর ছেলে আজাদ হোসেন খোকন, জয়েন উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ এবং ১০ বছর কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন মহসীন রিয়াজীর ছেলে রনো, জামাত আলী সরকারের ছেলে চাঁদ আলী ও মতিউর রহমান সরদারের ছেলে হুমায়ুন কবির দুলাল।
পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। আসামিদের সবার বাড়ি পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলায়।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে রেলযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে শেখ হাসিনার পথসভা হওয়ার কথা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনবহর পাবনার পাকশী পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় ট্রেন ও শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে শেখ হাসিনার কামরার জানালার কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ ঘটনার এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পাবনা কগনাইজিং আদালত -২ এর তৎকালীন বিচারক মো তোফাজ্জল হোসেন স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) পাঠান।
তদন্ত শেষে তিন বছর পর ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল নতুনভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলার আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment