একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:>>>
ঝিনাইদহের
হরিণাকুন্ডু উপজেলায় কলেজ পড়–য়া এক ছাত্রী অন্তসত্বা হয়ে পড়েছে। সন্তানের
পিতৃত্বের দাবী ছেলের পরিবার প্রত্যাখান করায় ওই ছাত্রী বিষপান করে
হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর
গ্রামে। গ্রামবাসি জানায়, গত সোমবার (৮ জুলাই) বিকালে হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহ
কলেজের ওই ছাত্রী জোড়াদহ গ্রামের দক্ষিন পাড়ার ওমর আলী মন্ডলের বাড়িতে
অবস্থান নেয়। তখন তার হাতে ছিল ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট। ছাত্রীর দাবী
ওমর আলীর প্রবাসি ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফের সাথে দৌহিক সম্পর্কের কারণে সে
২০ সপ্তার অন্তসত্বা। ঘটনার দিন ওই ছাত্রীকে ছেলের পরিবারের লোকজন তাড়িয়ে
দিলে রাতেই সে বিষপান করে। প্রথমে তাকে হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল ও পরে উন্নত
চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার
চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রী হরিশপুরে গ্রামে ফিরেছে। শুক্রবার দুপুরে অন্তসত্বা
ছাত্রীর মা সুফিয়া খাতুন গনমাধ্যম কর্মীদের মুঠোফোনে জানান, তার মেয়ে ২০
সপ্তার অন্তসত্বা বলে ডাক্তারী পরীক্ষায় উল্লেখ করেছে। জোড়াদহ গ্রামের ওমর
আলী মন্ডলের ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফ তার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করেছে বলেও
তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার মেয়ে ঝিনাইদহের একটি আদালতে
বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে। এখনো কোর্টের আদেশ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জোড়াদহ
ইউনিয়নের মেম্বর দেবাশিষ কুমার সরকার জানান, ৪ মাস আগে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ
বৈঠক করে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করা হয়। দুই পরিবারের মধ্যে আর্থিক
লেনদেনের পর ছেলে পারভেজ হোসেন আলতাফ দুবাই চলে যায়। সে সময় তো প্রেমের
সম্পর্কের কথাই জানতাম। এখন মেয়েটি বলেছে সে নাকি ৫ মাসের গর্ভবতী। কি ভাবে
কি হলো তাও আমরা বুঝতে পারছি না। ইউপি মেম্বর দেবাশিষ আরো জানান, জোড়াদহ
গ্রামে ওমর আলীর বাড়িতে মেয়েটি একটি কাগজ হাতে করে গত সোমবার বিকালে কিছু
সময় অবস্থান ও পরে বিষপান করে। ঘটনার দিনে ছেলে পক্ষ আমাকে ডেকেছিল। আমি
যেয়ে দেখি মেয়েটি একটি কাগজ হাতে করে বসে আছে। সেদিন আমরা তাকে বুঝিয়ে
সুজিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। যা দেখছি এখন সার্বিক বিষয়টি জটিল পর্যায়ে চলে
গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি
আসাদুজ্জামান বলেন, কলেজ ছাত্রী গর্ভবতী হওয়ার খবরটি আমি স্থানীয়
সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আমি ব্যাবস্থা
নেব।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment