এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
সারাদেশে চলমান গুজব ছেলেধরা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কে মূহুর্তের মধ্যে ছেলেধরা ভেবে মারধর করা হচ্ছে।
অনুরূপ কুমিল্লায় মুরাদনগর উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে জনতার হাতে মারধর খেয়ে আহত যুবক,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় যে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক স্থানে ছেলেধরা ভেবে এক যুবকসহ ৪ জনকে ব্যাপক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে ছালিয়াকান্দি ও জাহাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার পুলিশ ছালিয়াকান্দি এলাকা থেকে আটককৃত যুবককে উদ্ধার করে ফেরার পথে উত্তেজিত জনতার ছুড়া ইটে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
উদ্ধারকৃত যুবক রবিউল আউয়াল (৩৭) রংপুর আদর্শ সদরের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে অপরদিকে জাহাপুর এলাকা থেকে উদ্ধারকৃতরা হলেন বি-বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গন্ন গ্রামের সফিক মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), শামীমের স্ত্রী রাবেয়া (২৩), শিশু মিয়ার স্ত্রী পারুল (৪০)।
জানা যায়, রবিউল আউয়াল বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র দেখার উদ্দ্যেশে ইলিয়টগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ যাওয়ার পথে ছালিয়াকান্দি এলাকায় প্রস্রাব করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে একটু দুরে যাওয়ার পর সেখানে কয়েকজন স্থানীয় রাজমিস্ত্রী তাকে ছেলেধরা ভেবে বেধরক মারধর শুরু করে।
একপর্যায়ে তাকে সকলে মিলে ছালিয়াকান্দি ইন্দ্র ভূষন উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলমের নেতৃত্বে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে সেখান থেকে আটককৃত যুবককে উদ্ধার করে আসার পথে স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা করে। এসময় মুরাদনগর থানার কনস্টেবল আমিন হোসেন আহত হয়।
অপরদিকে নাসিরনগর থেকে ৭জন সাওতাল নারী জাহাপুর রথের মেলায় চুড়ি বিক্রয় করতে আসলে স্থানীয়রা ছেলেধরা মনে করে স্বপ্না, রাবেয়া ও পারুলকে ব্যাপক মারধর করে।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে একুশে মিডিয়াকে বলেন, যারা গুজবে কান দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে রবিউল ও পুলিশ বাদি হয়ে ২টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment