একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধা
সদর উপজেলার ত্রিমোহনী-কালীর বাজার রাস্তা। এ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়
যাতায়াত করেন ৬ গ্রামের মানুষ শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। তবে বেহাল
দশায় এরই মধ্যে রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই
কাদা মাড়িয়ে পথ চলতে হয় এসব এলাকার মানুষকে।
ত্রিমোহনীর
পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে একটি রাস্তা আলাই
নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অতিক্রম করে ফুলছড়ি উপজেলার কালীর বাজারে
সংযুক্ত হয়েছে। এই রাস্তার চার কি.মি অংশই কাঁচা। এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য
যানবাহন এবং পায়ে হেঁটে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ চলাচল করে।
রাস্তাটি এতই অসমতল ও এবড়োথেবড়ো যে, সন্ধ্যার পর একটু অন্ধকারে হেঁটে চলাচল
করতে হোঁচট খেতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদায় রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী
হয়ে পড়ে। এছাড়া পোকামাকড়ের ভয়ে স্কুল পড়ুয়া শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষ ওই
রাস্তায় চলাচল করতে চায় না। অনেক সময় তারা ঘুর পথে চলাচল করে থাকে।
সন্ধ্যার পর এই রাস্তায় লোকের আনাগোনা দেখা যায় না। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি
মেরামত ও সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
রাস্তাটি
পাকা করার জন্য গাইবান্ধা সদর আসনের সংসদ সদস্যের বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষ
থেকে লিখিত আবেদন করেছেন এবিএম ফজলুল বারী। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের
শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। কিন্তু
বর্তমানে এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি এতটাই খরাপ যে
বাইরের কেউ এসব এলাকায় বিয়ে দিতে চায় না। ছোট বেলা এই অবস্থা দেখে আসছি।
এই এলাকার অটোরিক্সা চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, একমাত্র চলাচলের রাস্তায়
ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি হলেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায়
যাতায়াত করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলাচল করা
অসম্ভব হয়ে পড়ে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment