নড়াইল ও গোপালগঞ্জ বাসীর স্বপ চোখে ছয় লেনের কালনা ব্রিজের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 18 July 2019

নড়াইল ও গোপালগঞ্জ বাসীর স্বপ চোখে ছয় লেনের কালনা ব্রিজের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একুশে মিডিয়া


উজ্জ্বল রায় নড়াইল প্রতিনিধি■:>>>
দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে গোপালগঞ্জ-নড়াইলবাসী। স্বপ্ন চোখে মধুমতি নদীর উপর একটা সেতু দেখবার। নদী পার হতে এখানে দুপাড়ের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়। যাত্রীদের ফেরির জন্য বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে দুপারের মানুষের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।
কারণ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে গোপালগঞ্জ-নড়াইলের ছয় লেনের কালনা ব্রিজের কাজ।
সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে নড়াইলের কালনা সেতুর ১৪টা পিলারের (দুটি এবাটমেন্টসহ) ২৮৭টা পাইলের মধ্যে ১টা এবাটমেন্ট ও ৪টা পিলারের ৯৪টা পাইলের কাজ চলছে।
বাকীগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার প্রস্তুতি চলছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ২০১৪ সালে নড়াইলের কালনা ঘাট পরিদর্শন করতে এসেছিলেন তৎকালীন ও বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ২০১৭ সালে শেষ হবে কালনা সেতুর কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও বছর পার হলে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বপ্ন বাস্তবায়নে আবার এগিয়ে আসেন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নড়াইলের কালনা সেতু নির্মাণের বিলম্বের প্রধান কারণ হলো পরিকল্পনার একাধিক পরিবর্তন। প্রথমে সেতুতে রেল লাইন সংযোজন করার কথা ছিল।
পরবর্তীতে আলাদা রেল লাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৪ লেনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তের পর ৬ লেন বিশিষ্ট সেতু তৈরির প্রস্তাব এলে বাড়তি অর্থ দিতে দেরি করে জাইকা।
পিছিয়ে যায় মধুমতি নদীর ওপর কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০১৮ সালের জুন মাসে জাইকার সহযোগিতায় ও দেশীয় অর্থে তিনটি কোম্পানি টেক্কেন-আব্দুল মোনেম লিমিটেড-ওয়াইবিসি যৌথভাবে এ সেতু নির্মাণ কাজ হাতে পায়। ব্রিজের কাজ শুরু হয়।
সেতুর বাজেট ধরা হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা। নদীরে ওপর ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৬ লেনের এ সেতু নির্মাণে সিমেন্ট সরবরাহ করবে দেশের বসুন্ধরা সিমেন্ট। এবছর ২০১৯ এর ১৩ জানুয়ারি তিনটি কোম্পানীর সাথে এ বিষয়ে চুক্তি সই করেছে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড। ২০২১ সালে এই সেতুর কাজ শেষ হবে ধারণা করা যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ-নড়াইলের সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে সেতুটি। দূরত্ব কমে যাবে রাজধানীর থেকে স্থল বন্দর বেনাপোলের। কালনা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের।
বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন ব্যাবস্থা। পদ্মা ও কালনা সেতুর সাহায্যে বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে ব্যবসায়ীরা কম খরচে ও কম সময়ের ব্যবধানে পণ্য পরিবহন করার সুযোগ পাবে। ফেরির জন্য সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ যে অপেক্ষা তার অবসান হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages