আল আমিন মুন্সী:>>>
রাজধানীর
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচাল করার জন্য আগে থেকেই
কয়েকজন অসাধু রাজনৈতিক নেতা উঠে পড়ে লেগেছে।
যা বিশেষ করে মোহাম্মদপুর থানা
ছাত্রলীগের সভাপতি তাদের মূল লক্ষ্য। ছাগল ছিনতাই ঘটনাকে সাজিয়ে তারা
নিজের স্বার্থে দলের সম্মানকে ক্ষুন্ন করে একজন সাহসী ও দলের জন্য নিবেদিত
প্রাণ ছাত্রলীগ নেতাকে তারা মানহানী ও মিথ্যা মামলা সাজাতে দ্বিধা করে না।
মূলত ঘটনার দিনে ছাত্র লীগ সভাপতি ঘটনার স্থালে উপস্থিত ছিলেন না এবং যিনি
বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে তিনি ছাগল ব্যবসায়ী না। ছাগলের হাটে প্রায়
সধিক ছাগলের সাথে ৪০-৫০ জন ছাগল ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা ২/৩ দিন ধরে ছাগল
বিক্রি করে আসতেছিলেন। তাদের কোনো অভিযোগ ছিল না এবং তাদের ব্যবসাও হাসি
মুখে করে যাচ্ছিল। এই মামলায় এই ব্যবসায়ীদের থেকেও কেউ মামলা দায়ের করেননি।
মামলায় উল্লেখিত যেখান থেকে তাদের ছাগলের ট্রাক ছিনতাই করা হয়েছিল। সে
রাস্তাটা মূলত গণভবনের সামনের রাস্তা উল্লেখ করা হয়েছে। যে রাস্তা সারাক্ষণ
সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা পাহাড়া বেষ্টিত থাকে। যেখানে চুরি ছিনতাই এবং কোন
রকম অস্থিতীশীলতার কোন কারণই হতে পারেনা। কিন্তু মামলায় বলা হয়েছে তাদের
অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে প্রধানমন্ত্রীর গণভবনের সামনে থেকে সশস্ত্র বাহিনীর
চোখ ফাঁকি দিয়ে ছিনতাই করে নিয়ে আসে। বিশেষ করে যিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছাগল ব্যবসায়ীদের জিম্বি কর যাত্রাবাড়ী
হাটে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি মূলত কোনো ছাগল ব্যবসায়ী নন এবং
এই ব্যবসার সাথে জড়িত নন। দলীয় নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেন,
যেহেতু আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশেই থাকি সেই হিসেবে বর্তমান সভাপতি
ছাত্রলীগটাকে আগলে রেখেছিল। তা কিছু অসাধু স্বার্থন্বেসী রাজনীতির নামে
নোংরামী করা নেতাদের চোখে ভালো লাগেনি। কারণ ছাত্রলীগ সভাপতি চেয়েছিল একটি
মডার্ন ছাত্র লীগ হিসেবে মোহাম্মদপুরকে গড়ে তুলবে। যা ইতিমধ্যেই তিনি
বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনির উপর ছাত্রলীগ কর্মীদের পরীক্ষা এবং তার অফিসে
বঙ্গবন্ধ লাইব্রেরী গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করেছেন। যা তাদের মাদক
ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন স্বার্থে আঘাত হানে।
যার প্রতিফলন ছাগল ছিনতাই
সাজিয়ে তার নামে মামলা করা। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সব
স্বার্থন্বেসী নেতাদেরকে খোঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
যারা এই ভাবে একজন ত্যাগী, পরিশ্রমী ছাত্রলীগ নেতাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে
দলের মান ক্ষুন্ন করে নিজের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটিয়েছে তারা দলের জন্য
হুমকির চেয়েও ভয়ংকর।
তারা নিজের স্বার্থের জন্য দলের কাউকে হত্যা করতে
দ্বিধা করবে না। তাই আমরা চাই তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হউক
এবং দলের মান রক্ষার্থে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হউক।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment