সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:>>>
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ২য় ধাপে ধান ক্রয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।এতে কৃষকরা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এস এম সাইফুর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হয় কৃষক। ২০
আগস্ট(মঙ্গলবার)সারা দিন উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে প্রকৃত কৃষকদের
ধান ক্রয় করার জন্য কৃষি কার্ড নিয়ে ২১আগস্ট(বুধবার) উপজেলা চত্বরে আনতে
প্রচারনা চালায় উপজেলা প্রশাসন।
বেলকুচি উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা
প্রায় ৪০০০ কৃষক উপজেলা চত্বরে একত্রিত হয়।সকালে অনুষ্ঠানিক ভাবে কৃষকদের
কাছ থেকে কৃষি কার্ড নেওয়া হচ্ছিলো হঠাৎ বিশৃঙ্খলার কারনে কার্ড নেওয়া বন্ধ
করে দেয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান,আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কাজ কর্ম বাদ
দিয়ে ভ্যান ভাড়া করে অর্থ খরচ করে উপজেলায় ধান বিক্রির নিশ্চয়তা জন্য এসে
ছিলাম।প্রথম অব্যস্থায় কার্যক্রম ভালো ছিলো।আমরা লাইনে দাড়িয়ে ছিলামম প্রায়
১ ঘন্টা পর ইউএন মহাদয় মাইক দিয়ে জানিয়ে দিলো কার্যক্রম স্থগিত করা
হয়েছে।তারা আরও বলেন আমাদের সাথে কেনো এমন করলো।আমরা শুধু হয়রানির স্বীকার
হলাম।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী
শেখ জানায়, ধান ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।এই ভাবে কৃষকদের
হয়রানি করার কোনো মানেই হয় না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল জানান, আমি কৃষকদের
তালিকা ইউএনও অফিসে দিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে তালিকা তৈরি করার কথা ছিল।এই
ধান সংক্রান্ত ক্রয় বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
বেলকুচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান হোসেন
জানান, কৃষকদের তালিকা তৈরি করার বিষয়ে আমি অবগত নই। দুপুরে কৃষকদের কাছে
জানতে পারি মুখ দেখে তালিকা তৈরি করতে ছিল।একপর্যয়ে কৃষকরা ইউএনও সাহেবের
উপড় ক্ষুব্ধ হয়ে পরে।তখন সে কৃষি অফিসে দৌড়ে আশ্রয় নেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম সাইফুর রহমান এই প্রতিবেদককে
জানান, এ উপজেলায় ২য় ধাপের জন্য ৫৯৮ মেট্টিকটন ধান ক্রয় করা হবে। এ কারণে ৬
টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কৃষকদের মাইকিং করে নিয়ে আসা হয়,শুরু ভালোই ছিলো।কিছু
দালাল চক্র হট্টগোল সৃষ্টি করে।
এক পর্যায়ে ধান ক্রয় স্থগিত করি। তবে খুব
দ্রুত প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে তালিকা তৈরি করা হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment