কুমিল্লা জুড়ে তোলপাড় বিয়ের পরও রক্ষা পায়নি ধর্ষণ থেকে!ধর্ষক শিক্ষক গ্রেপ্তার। একুশে মিডিয়া

এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>

কুমিল্লার হোমনায় বিয়ে করেও রক্ষা পায়নি স্কুল ছাত্রী। শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাবেক ওই ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিয়োগে সোহেল (২৯) নামের সাবেক এক স্কুল শিক্ষককে গ্রে’ফতার করেছে হোমনা থানা পুলিশ ।মো. সোহেল দৌলতপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে এবং দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।

হোমনা থানার এসআই অহেদ মুরাদ জানান, দৌলতপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে সোহেল দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক থাকাকালীন সময় দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে ধ’র্ষণ করে।
পরে নিজে বিয়ে না করে ভয়ভীতি দেখিয়ে একই গ্রামের আলম নামের তার এক বন্ধুর নিকট তাকে (ভিকটিম) বিবাহ দেয়। কিন্তু সোহেল পূর্বে সম্পর্কের জের ধরে পূর্বের ঘটনা প্রকাশ করিয়া দেওয়ার ভয় দেখাইয়া বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করতে চায়।ভিকটিম এতে রাজী হয় নাই। সর্বশেষ গত ২০.০৭.১৯ইং তারিখ সকালে মোঃ সোহেল ভিকটিম কে দুলালপুর বাজারে তাহার ভাড়াটিয়া রুমে শেষ বারের মত দেখা করতে বলে সোহেল।ভিকটিম তার দাম্পত্য জীবনের সুখের কথা চিন্তা করে তার কথামতো উক্ত রুমে যায়। পরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো শেষে জোরপূর্বক তাকে ধ’র্ষণ করে।পরে সোহেল ভিকটিমের ব্যবহৃত ইমু নাম্বার ম্যাসেজ পাঠাইয়া তাহার সাথে শারীরিক সর্ম্পকের বিস্তারিত লিখে আবার প্রস্তাব দেয়।

উক্ত ইমু নাম্বারের ম্যাসেজ গুলো ভিকটিমের স্বামীর চোখে পড়িলে তাহাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ভিকটিমকে তার স্বামী ডিভোর্স দেয়।

উপরোক্ত বিষয় উল্লেখ করে ২২.০৮.১৯ইং তারিখে ভিকটিম বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা করে।হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো.ফজলে রাব্বী জানান, দুলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক খন্ডকালনি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেছে।

রাতে হোমনা থানার এসআই অহেদ মুরাদের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রে’ফতার করে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যেমে আসামী সোহেলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

একুশে মিডিয়া/এমএসএ