"রাজশাহী মহানগরীতে ডেসটিনির মাঠ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত, প্রশাসন নির্বিকার" - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 26 August 2019

"রাজশাহী মহানগরীতে ডেসটিনির মাঠ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত, প্রশাসন নির্বিকার"


একুশে মিডিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি:>>>
হজরত শাহ মুখদম (রহঃ) এর পূণ্য ভূমি শিক্ষা নগরী রাজশাহীর উন্নয়ন এর লক্ষে সর্ব প্রথম কাজ শুরু করে ডেসটিনি।রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম থাকলেও শুধুমাত্র উন্নত মানের আবাসিক হোটেল না থাকায় রাজশাহী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হতে বঞ্চিত।
ডেসটিনির মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পক্ষ থেকে দুটি ২৫ তলা বিল্ডিং পাশাপাশি তৈরি করে থ্রি স্টার আবাসিক হোটেল সহ আধুনিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য মেডিকেল কলেজ ও আরো ব্যবসা বানিজ্য প্রসারের জন্য তৎকালীন বর্ণালী সিনেমা হল ক্রয় করা হয়।
৫৬ কাঠা এই প্লটটি পুরাতন বিল্ডিং ভেঙ্গে মাঠে পরিণত করা হয়। সেই লক্ষ্যে দুটি ২৫+২৫=৫০ তলা টাওয়ারের প্যাকেজ শেঁয়ার বিক্রয় শুরু হয়।২০১২সালে যদি ডেসটিনির অগ্রযাত্রা না থামানো হত, তাহলে রাজশাহী মহানগরীর সর্ব বৃহৎ টাওয়ার ডেসটিনি নির্মাণ করত। যাই হোক ডেসটিনির বিরুদ্ধে কোন অদৃশ্য পুতুল নাচের সুতোর টানে দুদক কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে এর অগ্রযাত্রা থামানো হলে বর্ণালী সিনেমার মাঠ যা বর্তমানে ডেসটিনির মাঠ হিসেবে পরিচিত তা তালা বদ্ধ অবস্থায় থাকত।
দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার পরও আগের গার্ড তার দায়িত্ব পালন করত।কারন সে জানে ডেসটিনি তার স্বরূপে ফিরলে সে সব বেতন একসাথে পাবে।ডেসটিনির মাঠের মত শহরের মিডিল পয়েন্টে এই রকম মাঠ আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই এখানে সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন রকম মেলা যেমন তাত ও বস্ত্র মেলা, আন্তর্জাতিক মেলা সহ মজো ও গ্রামীণ ফোনের মত কোম্পানি মেলা করলেও ডেসটিনি কখনও এর ভাড়া স্বরূপ এক পয়সা পায়নি।
প্রথম দিকে ডেসটিনির সম্পদ রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে একবার মেলা কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে পি এস ডি টুকুর নাম আসে।তখন খুরর্শিদা বানু অন্তরা , নুরুল ইসলাম নয়ন সহ আরো কয়েক্ জন মিলে টুকুর বক্তব্য নিলে সে জানায় পুলিশ কমিশনার সহ ক্ষমতাসীন দলের কিছু পাতি নেতা এই টাকা ভাগ করে তাদের পকেট ভর্তি করে।
সম্প্রতি ৮/১০ দিন পূর্বে শেষ হলো সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে বানিজ্য মেলা।মেলা শেষ হওয়ার পর পরই মাঠটি বালু ফেলে তার উপর ইট বিছিয়ে মাঠটি সমান্তরাল করা শুরু করে কিছু ভূমি দস্যু।
এ বিষয়ে ডেসটিনি সম্পদ রক্ষা উপ কমিটির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নয়ন কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান মেলা কমিটি তাদের কোন ভাড়া বাবদ টাকা দেইনি, পার্শ্বে মেডিকেল কলেজ এর পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু হলে তারা এখানে নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য মাঠটি ব্যাবহার করছে।তাদের নিকট থেকে ভাড়া নেবার জন্য গত কয়েক দিন পূর্বে ঠিকাদাররা মিটিং করে।তারপর থেকে ঠিকাদারদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অত্র প্রতিবেদন প্রস্তুত কালে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে।অনুসন্ধানে জানা যায় ক্ষমতাসীন দলের শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ রাজশাহী মহানগরীর আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ডেসটিনির মাঠটি দখল করার জন্য সিটি করপোরেশনের টেন্ডারের মাধ্যমে মাঠটি ইট,বালু ফেলে সমান্তরাল করা হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষমতাসীন দলের একজন জানান বজলু,মোস্তাক,ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ আরো অনেক ব্যাক্তির নাম।
এই বিষয়ে গত কয়েক দিন পূর্বে পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং মাঠটি দখল মুক্ত করার আহ্বান জানান হয় ডেসটিনি সম্পদ রক্ষা উপ কমিটি ও সাধারণ ক্রেতা পরিবেশক গণের পক্ষ থেকে।তথাপিও কোন কাজ হয়নি।দখলদারদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক এর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। কোন উপায় না পেয়ে জেলা প্রশাসকের পি এ কে সাক্ষাৎ এর বিষয়টি জানান হলে তিনি জানান ২/৩দিন স্যারের প্রচুর চাপ।শুধু একটার পর একটা মিটিং আর মিটিং গতকাল সর্ব মোট পাঁচ বার জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় যাওয়া হলে দেখতে পাওয়া যায় একটা মিটিং শেষ হওয়ার সাথে সাথে আরেকটি মিটিং শুরু হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ কমিশনার এর বক্তব্য নেঁয়ার চেষ্টা করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি। ৪৫ লক্ষেরর অধিক ক্রেতা পরিবেশক এর সম্পত্তি রাজশাহীর ৫৬ কাঠা ডেসটিনি মাঠ দখলদার,ভূমি দস্যুদের নিবৃত করতে আশু কেন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ ক্রেতা পরিবেশক গণ। নইলে ডেসটিনির মাঠ বেদখল সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এই বিষয়ে পূর্ববর্তী ডেসটিনির সম্পদ রক্ষা উপ কমিটি র আহ্বায়ক খুরশিদা বানু অন্তরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সবকিছুই এম ডি স্যার কে জানিয়েছি।আমার পূর্বের সম্পদ রক্ষা কমিটির সময়ও মেলা কমিটি টাকা দিচ্ছে না এই রকম মন্তব্য শুনেছি। আমি আহ্বায়ক থাকাকালীন আমি ও পি এস ডি মাসুদ পারভেজ মেলা কমিটির কাছে থেকে ভাড়া বাবদ টাকা আদায় করে দিয়েছি। বর্তমান আহ্বায়ক এর আমলে আবার শুনছি রাজনৈতিক নেতাদের চাঁদাবাজি ও মেলার ভাড়া নিয়ে তাদের অরাজকতা। আমাদের সময় তো এমন হয়নী।আমরা পারলে বর্তমান অহবায়ক কেন ভাড়ার টাকা আদায় করতে পারবে না?বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন।






একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages