ইলিয়াস
হুসাইন পাবনা:>>>
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রামে এক কৃষকের বুদ্ধিমত্তায় ও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে বেঁচে
গেছে ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী। রিনা খাতুন নামের এ ছাত্রী গৌরিগ্রাম
ফাতেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ও গৌরিগ্রাম পশ্চিমপাড়া
গ্রামের আব্দুল হান্নান কালুর মেয়ে। শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় তার বিয়ে
হওয়ার কথা ছিল।
সাঁথিয়া
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার
গৌরিগ্রাম থেকে তিনি একজন কৃষকের কাছ থেকে থেকে ফোনকল পান। ওই কৃষক হটলাইন
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তার সাথে কথা বলেন। ওই কৃষক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায়
তাদের গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হতে যাচ্ছে।
এ
খবর পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম পুলিশ ফোর্স
নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ ও কাজী
মোক্তার হোসেন পালিয়ে যান। এ সময় রিনা খাতুন নামের ওই মাদ্রাসা ছাত্রী
জানায়, তার মতামত উপেক্ষা করে তার অভিভাবকরা তাকে বিয়ে দিচ্ছিলেন। সে
লেখাপড়া করতে চায় বলে জানায়।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে ১৮ বছর পূরণের আগে বিয়ে দেবেন না বলে ইউএনও এর কাছে মুচলেকা দেন।
উপজেলা
নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম জানান, তথ্য গোপন করে মোক্তার হোসেন নামের
এক কাজী বিয়ে রেজেষ্ট্রি করতে চেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
সহ বাল্য বিয়ে বন্ধে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment