শফিউর রহমান সেলিম, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:>>>
ময়মনসিংহে
গলায় ফাঁস টানিয়ে এক চিকিৎসক কন্যার রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে নগরীর গোলকিবাড়ী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ
ঘটনায় নিহতের স্বজন- সহপাঠী ও প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের মাতম বইছে।
পারিবার
সূত্র জানায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম মাইশা মাহমুদ প্রীতি(১৬)। সে স্থানীয়
বিদ্যাময়ী সরকারী বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তাঁর
পিতার নাম মাহমুদুর রহমান মামুন। তিনি নাভানা ফার্মার সহকারী বিক্রয়
ব্যবস্থাপক। মাতা ডা: সুরাইয়া আক্তার সুমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এবং নিহত প্রীতির বড় বোন
মেডিকেলে অধ্যরনরত।
ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রীতির পিতা মাহমুদুর রহমান মামুন। তিনি জানান,
এমন হবার মত কোন কারণ জানা নেই। দুপুরে হঠাৎ বাসায় এসে দেখি মেয়ের কক্ষের
দরজা বন্ধ। সাঁড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে দেখি মেয়ে আমার রশিতে ঝুলছে, বলেই
কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
প্রীতির
শিক্ষক ও সহপাঠীরা জানায়, প্রীতি শান্ত প্রকৃতির অত্যান্ত মেধাবী ছাত্রী
ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও তাঁর অংশ গ্রহন ছিল সমান তালে।
সেই মেয়েটি কেন বা কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা সত্যিই রহস্যজনক?
তবে
প্রতিবেশীরা জানায়, এই পরিবারের সবাই মেধাবী। তবে ব্যক্তি জীবনে তারা অনেক
জেদী স্বভাবের। প্রায় এক যুগ আগে নিহত প্রীতির চাচা রাশেদ হঠাৎ ট্রেনে
কাটা পড়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা
যায়, প্রীতির ব্যবহৃত ফেইসবুক আইডিটি ডি-এ্যকটিভ করা। তাঁর সেই আইডির
সূত্রধরে ধারনা করা যায় প্রেম ঘটিত কোন বিষয়েই হয়ত এ ঘটনার ঘটতে পারে। তবে এ
সংক্রান্ত স্পষ্ট কোন তথ্য কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
কোতয়ালী
মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আশিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,
লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment