ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহীধ>>>
হঠাৎই যেন অশান্ত হয়ে উঠেছে শান্তি ও সৌহান্দ্যের হযরত শাহ্মখুদ রুপশ (র.) এর পবিত্র নগরী রাজশাহী। একের পর এক ঘটছে ত্রাসের ঘটনা। নারীদের যৌনহয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার সঙ্গে বাড়ছে ছিনতাই এবং খুনে ঘটনাও। এতে গত দুইদিন আগে শহীদ ক্যাপটেন মনসুর ভদরা পার্কে অসামাজি কাজে লিপ্ত থাকায় ২৪ জোরা প্রেমিক-প্রেমীকাকে আটক করে পুলিশ। স্কুল-কলেজ ছেড়ে পদ্মাপাড়, পার্ক ও মোড়ে মোড়ে আড্ডা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে।সামাজিক রীতি-নীতিতে নেই তাদের শ্রদ্ধাবোধ। এভাবেই রাজশাহীতে বাড়ছে কিশোর অপরাধ।এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পডছে বড় বড় অপরাধে। নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির আনুকূল্যে ‘কিশোর গ্যাং’র অপরাধমূলক কর্মকা-গুলো ডালপালা মেলছে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
হঠাৎই যেন অশান্ত হয়ে উঠেছে শান্তি ও সৌহান্দ্যের হযরত শাহ্মখুদ রুপশ (র.) এর পবিত্র নগরী রাজশাহী। একের পর এক ঘটছে ত্রাসের ঘটনা। নারীদের যৌনহয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার সঙ্গে বাড়ছে ছিনতাই এবং খুনে ঘটনাও। এতে গত দুইদিন আগে শহীদ ক্যাপটেন মনসুর ভদরা পার্কে অসামাজি কাজে লিপ্ত থাকায় ২৪ জোরা প্রেমিক-প্রেমীকাকে আটক করে পুলিশ। স্কুল-কলেজ ছেড়ে পদ্মাপাড়, পার্ক ও মোড়ে মোড়ে আড্ডা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে।সামাজিক রীতি-নীতিতে নেই তাদের শ্রদ্ধাবোধ। এভাবেই রাজশাহীতে বাড়ছে কিশোর অপরাধ।এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পডছে বড় বড় অপরাধে। নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির আনুকূল্যে ‘কিশোর গ্যাং’র অপরাধমূলক কর্মকা-গুলো ডালপালা মেলছে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি রুয়েট শিক্ষককে মারধর, অটোরিকশায় ওঠার পর রুয়েট ছাত্রীকে যৌনহয়রানি ও কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনা উদ্বেগ কারণ নগরী জুরে। অনেক সময় চোখের সামনে ঘটনা ঘটলেও সমাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাধারণ মানুষ আক্রান্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছেন না। দুর্বৃত্তদের সামনে রুখে না দাঁড়িয়ে, প্রতিরোধ না করে নিরব দর্শকের মত নানান ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে দেখছেন নগরবাসী।
তবে এই ভীতির রাজ্যটা ভেঙে মানুষকে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে না বলেও সাক্ষ্য দিচ্ছে দেশের অতীত ইতিহাস।
অনেক সময় আবার এই প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ছবি ও ভিডিও ভাইরালও হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যা অপরাধ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তবে এর মাঝখান থেকে ঝরে যাচ্ছে কিছু তরুণ-তরুণীর প্রাণ।
আর ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে না গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পুলিশের ওপর আস্থা না থাকায় এমনটি ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
রুয়েট শিক্ষকের স্ত্রীকে যৌনহযরানি প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর, রুযটে ছাত্রীকে অটোরিকশায় তুলে লাঞ্ছিত করা, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে সিটি কলেজছাত্র খুনের সমসাময়িক এমন ঘটনাগুলো এখন ‘টক অব দ্যা সিটি’। পাড়া-মহল্লার সাধারণ চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় এখন সবাই সরব ‘আইন-শৃঙ্খলা’ পরিস্থিতি অবনতির আলোচনা আর সমালোচনায়।
উদ্বেগজনক হলেও সত্য যে, রাজশাহী জুড়ে গত এক মাসে এমন ছোট-বড মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। যৌনহয়রানি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ কর্মকা-ের অধিকাংশতেই জড়িত হয়ে পড়েছে কিশোর অপরাধীরা। অসাধু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তারা যেন হযরত শাহ্মখুদ রুপশ (র.) এর পবিত্র নগরী রাজশাহীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলচ্ছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মহানগরীর পুলিশের কাছে কিশোর অপরাধীদের তালিকা দিয়ে নিজে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অতি সম্প্রতি সময়ের ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। আমি চাইনা রাজশাহী ‘বরগুনা’ হোক; প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা হোক। শান্তির এ নগরটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হোক। আমার এই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার কথা এরই মধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি’।
এদিকে, নগর পুলিশের দাবি ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও অনেকে তাদের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অবশ্য সেইটি দেখেও অনেক সময় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি সময়ের এসব ঘটনা তারা তদন্ত করে দেখছেন। কোনো ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ ও স্থানীয়দের সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করছে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসছেন।
তবে সামাজিক অস্থিরতা ও আস্থাহীনতার কারণেই মানুষ লাঞ্ছিত হয়েও পুলিশের কাছে যাচ্ছে না বলে সমস্যা চিহ্নিত করেছেন সমাজ বিশ্লেষকরা। এর বিপরীতে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাতায় যাচ্ছেন। সেখানে জনমত তৈরি করে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বলেন, কমবেশি অনেকের কাছেই পুলিশের কাছে গিয়ে সেবা না পাওয়ার একটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিচ্ছেন। এটা এখন মানুষের সেন্টিমেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাবি শিক্ষক শেখ শামীমা সুলতানা বলেন, বিচার হবে কী হবে না এমন প্রশ্নে এখনও অনিশ্চিতায় ভোগেন ভুক্তভোগী মানুষ। এটি একটি কারণ হতে পারে যে মানুষ ওখানে না গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। তবে তার কাছে মনে হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা এখন আসলে একটা বড হাতিযার হয়ে দাঁডয়িছে তথ্যের জন্য। তাই সামাজিক অপরাধ রোধে পুলিশকে আরও নিবিড়ভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে কাজ করার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।
তবে এই ভীতির রাজ্যটা ভেঙে মানুষকে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে না বলেও সাক্ষ্য দিচ্ছে দেশের অতীত ইতিহাস।
অনেক সময় আবার এই প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ছবি ও ভিডিও ভাইরালও হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যা অপরাধ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তবে এর মাঝখান থেকে ঝরে যাচ্ছে কিছু তরুণ-তরুণীর প্রাণ।
আর ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে না গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। পুলিশের ওপর আস্থা না থাকায় এমনটি ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
রুয়েট শিক্ষকের স্ত্রীকে যৌনহযরানি প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর, রুযটে ছাত্রীকে অটোরিকশায় তুলে লাঞ্ছিত করা, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে সিটি কলেজছাত্র খুনের সমসাময়িক এমন ঘটনাগুলো এখন ‘টক অব দ্যা সিটি’। পাড়া-মহল্লার সাধারণ চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় এখন সবাই সরব ‘আইন-শৃঙ্খলা’ পরিস্থিতি অবনতির আলোচনা আর সমালোচনায়।
উদ্বেগজনক হলেও সত্য যে, রাজশাহী জুড়ে গত এক মাসে এমন ছোট-বড মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। যৌনহয়রানি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ কর্মকা-ের অধিকাংশতেই জড়িত হয়ে পড়েছে কিশোর অপরাধীরা। অসাধু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তারা যেন হযরত শাহ্মখুদ রুপশ (র.) এর পবিত্র নগরী রাজশাহীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলচ্ছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মহানগরীর পুলিশের কাছে কিশোর অপরাধীদের তালিকা দিয়ে নিজে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অতি সম্প্রতি সময়ের ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। আমি চাইনা রাজশাহী ‘বরগুনা’ হোক; প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা হোক। শান্তির এ নগরটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হোক। আমার এই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার কথা এরই মধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি’।
এদিকে, নগর পুলিশের দাবি ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এর পরও অনেকে তাদের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। অবশ্য সেইটি দেখেও অনেক সময় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি সময়ের এসব ঘটনা তারা তদন্ত করে দেখছেন। কোনো ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ ও স্থানীয়দের সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করছে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসছেন।
তবে সামাজিক অস্থিরতা ও আস্থাহীনতার কারণেই মানুষ লাঞ্ছিত হয়েও পুলিশের কাছে যাচ্ছে না বলে সমস্যা চিহ্নিত করেছেন সমাজ বিশ্লেষকরা। এর বিপরীতে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাতায় যাচ্ছেন। সেখানে জনমত তৈরি করে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বলেন, কমবেশি অনেকের কাছেই পুলিশের কাছে গিয়ে সেবা না পাওয়ার একটা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিচ্ছেন। এটা এখন মানুষের সেন্টিমেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাবি শিক্ষক শেখ শামীমা সুলতানা বলেন, বিচার হবে কী হবে না এমন প্রশ্নে এখনও অনিশ্চিতায় ভোগেন ভুক্তভোগী মানুষ। এটি একটি কারণ হতে পারে যে মানুষ ওখানে না গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। তবে তার কাছে মনে হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা এখন আসলে একটা বড হাতিযার হয়ে দাঁডয়িছে তথ্যের জন্য। তাই সামাজিক অপরাধ রোধে পুলিশকে আরও নিবিড়ভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে কাজ করার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment