বাঁশখালীর ছনুয়ায় বেপরোয়া সন্ত্রাসী মানিক বাহিনী: এলাকা জুড়ে আতঙ্ক! - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 31 August 2019

বাঁশখালীর ছনুয়ায় বেপরোয়া সন্ত্রাসী মানিক বাহিনী: এলাকা জুড়ে আতঙ্ক!


একুশে মিডিয়া, অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:>>>
মোঃ  জয়নাল আবেদীন ওরফে মানিক । ছনুয়া ইউনিয়নের এক নব্য উঠতি সন্ত্রাসের নাম। এলাকায় ইয়াবা মানিক হিসেবেও  বেশ পরিচিতি রয়েছে এই উঠতি সন্ত্রাসের। তাছাড়া চাঁদাবাজি, ভুমি দখল, গাড়ি আটক করে টাকা ছিনতাই এবং ইভটিজিংসহ নানান অপরাধের সাথেও নিজেকে জড়িয়ে এলাকায় এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী মানিক।
এ ছাড়াও এলাকার স্থানীয় স্কুল কলেজগামী তরুণদেরকে মাদক বিক্রি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে বহু ছাত্রকে বিপথগামী করে তুলেছে মানিক। মানিকের অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের উপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচর নির্যাতন।
সন্ত্রাসী মানিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে বাঁশখালী থানায় চাঁদাবাজি , ছিনতাইয়ের অভিযোহে ২টি মামলা রয়েছে। রয়েছে অনেকের লিখিত অভিযোগ।
সূত্রমতে, সন্ত্রাসী মানিকের নেতৃত্বে ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামে রয়েছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানকারী খুদুকখালী গ্রামের কথিত এক তাতীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় ছনুয়া, পুইছড়ি ও শেখেরখীল এলাকায় পরিচালিত হয় সন্ত্রসী কার্যক্রম। ইয়াবা পাচার, সিএনজি ছিনতাই, রাতে ডাকাতি , ইভটিজিং এবং অন্যের জমি দখল করাই হল মানিকবাহিনীর কাজ।
তার এই অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে এরইমধ্যে অনেক কিশোর ও কলেজ ছাত্রের জীবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, খুদুকখালী গ্রামের বেশ কিছু ছাত্র- ছাত্রীকে দিয়ে ইয়াবা পাচার করে একটি সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারীর দল। ঐ দলের সাথে সন্ত্রাসী মানিক এবং তার বাহিনীও জড়িত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সূত্রমতে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ বাঁশখালী থানায় ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র গোলাম মোস্তফা সন্ত্রাসী মানিকসহ ৬ জনকে আসামী একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জুলাই খুদুকখালীর ৭ নং ওয়ার্ডের আলী আকবরের স্ত্রী কমরুন্নিছা বাদী হয়ে মারধর , লুটপাট এবং  ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন, এই মামলায় সন্ত্রাসী মানিক ১ নং আসামী। গত ২৭ মে সন্ত্রাসী মানিকের হুমকির প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি দায়ের করেন একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের  মৃত মাস্টার সামশুল আলমের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদুল মনির। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো বহু অপকর্মের অভিযোগ।
এদিকে, ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্থ মৃত মাস্টার খালুর ঘরের মোড়, আবদুল লতিফ সড়ক, সরলিয়াবাজার ব্রীজ ও বড় মাদরাসার টেক পয়েন্টে মূলত মানিক বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। এসব পয়েন্টে মানিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গোরা একত্রিত হয়ে চাঁদাবাজি এবং স্কুলগামী ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করে। এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে আসলে তাদের উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানিকের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্য লালিত সুনাম এখন ধ্বংসের পথে। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কখনো মাদকের নাম না শুনলেও  ওয়ার্ডটি এখন মাদক বিক্রেতাদের জোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এলাকাবাসীর দাবি, অতিদ্রুত প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে মাদক বিক্রিকারীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। 
অন্যদিকে, ছনুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড শিক্ষা দীক্ষায় একটি আদর্শ গ্রাম হলেও সন্ত্রাসী মানিকের কারণে বর্তমানে এই ওয়ার্ডের সুনাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আশে পাশের মানুষ বর্তমানে এই ওয়ার্ডকে একটি ইয়াবা বিক্রির ওয়ার্ড বলে সম্বোধন করতে দ্বিধা করছেনা।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম  সন্ত্রাসী মানিকের কার্যকলাপ সর্ম্পকে  বলেন, মানিকের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages