একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সকল চাকরীক্ষেত্রে বিষয়কোড অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সকল চাকরীক্ষেত্রে বিষয়কোড অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে সাংবাদিকদেরকে দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ২০১০ সালে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগকে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু এখনো বিষয়টির কোড পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে যোগ্যতা থাকলেও সরকারিসহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে গ্রাজুয়েটরা আবেদন করতে পারছে না। যেসব প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক অভিজ্ঞদের নেয়া হয় সে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা আবেদন করতে পারছি। কিন্তু বিষয়কোড না থাকায় প্রাথমিক ধাপগুলো পার হতে পারলেও আমাদেরকে চ‚ড়ান্ত ধাপে আটকে দেয়া হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, বিষয়কোড না থাকায় ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরে আমাদের নির্ধারিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়েছে কী না তা নিয়ে চাকরিদাতারা সংশয়ে থাকেন। তাই তাদেরকে আমাদের সিলেবাস দেখানোর প্রয়োজন হয়, নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি সুরাহার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। উপরমহলে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে তারাও আমাদেরকে আশ্বাস দিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হচ্ছে না। তাই আমরা বিষয়টির চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত জেনে তবেই আন্দোলন স্থগিত করবো। না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এর আগে গত বুধবার সকাল থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে থাকেন। পরে সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন। এসময় তিনটি দাবি উত্থাপন করা হয়।
অনতিবিলম্বে ৪১তম বিশেষ বিসিএস বিজ্ঞপ্তির আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে আইসিই বিষয়ের বিষয় কোড অন্তর্ভুক্ত করা।
ব্যাংকিং সেক্টরে আইটি অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাবজেক্ট যুক্ত করা, সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান আইসিটি পদের নিয়োগে সিএসই ও আইসিটি বিভাগের পাশাপাশি আইসিই বিষয়কেও অন্তর্ভুক্ত করা।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমরাও চাই বিষয়টির সমাধান হোক। বিভাগের বিষয়কোড অর্ন্তভুক্তকরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে কথা হচ্ছে। আশা করি দ্রæত বিষয়টির সমাধান হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment