ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে দীর্ঘ সময় ধরেই মাদ্রাসার কোনো পাঠ্যক্রম ছিলো না। কিন্তু নামের সঙ্গে ছিল ‘মাদ্রাসা’। এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছিলেন প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থী। সম্প্রতি রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে দীর্ঘ সময় ধরেই মাদ্রাসার কোনো পাঠ্যক্রম ছিলো না। কিন্তু নামের সঙ্গে ছিল ‘মাদ্রাসা’। এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছিলেন প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থী। সম্প্রতি রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এখন এর নাম ‘হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’। আগে নাম ছিল ‘রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা’। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা জানিয়েছেন, রাজশাহীর সুধিসমাজ, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে তার চার বছরের প্রচেষ্টার পর এর নাম পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। সবার দাবির পূরণ করতে পেরে তার ভাল লাগছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকসহ সবার দাবি ছিল নাম পরিবর্তন করার। তাই চার বছর ধরে আমাকে কষ্ট করে কর্মকর্তাদের বোঝাতে হয়েছে যে, এটি মাদ্রাসা নয়, এটি একটি সাধারণ স্কুল। নাম পরিবর্তন করার গুরুত্ব বোঝানোর পর তারা অনুমতি দিয়েছেন। ফলে এখন এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট নিয়ে আর কোন বির্তক থাকবে না।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন আমি সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে থেকে আমাকে যখন যে ধরনের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে আমি তখন সেই ধরনের উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়েছে। এখন অন্যান্য সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মতোই এখানকার শিক্ষার্থীরা মর্যাদা পাবে। তাদের আর কেউ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে অবহেলা করতে পারবে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেই কাজ শেষ হয়নি, বরং শুরু হলো। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরাও যেন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ভাল পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে তার জন্য যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার সেগুলো আমি করবো। ইতিমধ্যেই ছয়তলা একটি ভবনের অনুমোদন করিয়েছি। আরো একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবনের কাজগুলো শেষ হলে শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে পড়াশুনা করতে পারবে।
রাজশাহী সদরের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, শুধু ভবন নয়, এর পাশাপাশি পুরনো শ্রেণীকক্ষগুলো ঠিক করতে হবে। এর সাথে খেলার মাঠ ঠিক করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পারে এবং তাদের মানসিক বিকাশ হয়। পড়াশোনা এবং খেলাধুলায় রাজশাহীর ছেলে-মেয়েরা দেশ সেরা হয়। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
রাজশাহী সদরের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, শুধু ভবন নয়, এর পাশাপাশি পুরনো শ্রেণীকক্ষগুলো ঠিক করতে হবে। এর সাথে খেলার মাঠ ঠিক করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে পারে এবং তাদের মানসিক বিকাশ হয়। পড়াশোনা এবং খেলাধুলায় রাজশাহীর ছেলে-মেয়েরা দেশ সেরা হয়। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
এ সময় হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক হুসনে আরা বেগম, সহকারী শিক্ষিক জোবাইদা খাতুন, মামুনুর রহমান রানাসহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment