সাজেদৃল ইসলাম টিটু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:>>>
মুক্তিযুদ্ধের
সময় পাকহানাদার বাহিনীকে হটিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিজয় পতাকা
উত্তোলনকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোত্তালেব মন্ডলের আজ মঙ্গলবার ৭ম
মৃত্যু বার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ নং সেক্টরের অধীন ২ নং প্লাটুন
কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাঁচবিবি লাল বিহারী (এল,বি)
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় পতাকা উড়িয়ে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের
সময় দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতার সংগ্রামে
ঝাঁপিয়ে পড়েন পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামের ( টিএন্ডটি পাড়া)
টগবগে যুবক আব্দুল মোত্তালেব। তিনি ভারতের বালুর ঘাট মহকুমার রায়গঞ্জ
বনবিভাগের অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক ট্রেনিং নেন। ট্রেনিং শেষে
ভারতের গোবরা হেডকোয়ার্টারের ক্যাপ্টেন রায় সিং তাকে ২ নং প্লাটুন কমান্ডার
হিসাবে নিয়োগ দেন।তিনি জয়পুরহাটের রামকৃষ্টপুর হতে পাঁচবিবি, হিলি ও
বিরামপুর কাটলা পর্যন্ত পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশনের দায়িত্বে
ছিলেন।
সঙ্গীয় যোদ্ধাদের
নিয়ে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে হিলি রেল লাইন উড়িয়ে
দেয়া ছিল তার প্রথম অপারেশন। ওই সময় পাকবাহিনীর সাথে ৪৫ মিনিট সম্মুখ যুদ্ধ
হয়। বিরামপুর কাটলা হাটে মাইন পুঁতে রেখে শত্রু পক্ষের ট্রাক ধ্বংস করেন।
বিরামপুর ঘাসুরিয়া ক্যাম্পে ২ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধ করেন।
এছাড়া
পাঁচবিবি কড়িয়া চিড়ি নদীর ব্রিজে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান। এতে পাক হানাদার
বাহিনীর ২ জন নিহত ও ৫ জন গুরুতর আহত হন। তিনি সঙ্গীয় যোদ্ধাদের নিয়ে উচনা
এলাকায় পাকবাহিনীর ক্যাম্পে গোলা নিক্ষেপ করলে শত্রু পক্ষ ক্যাম্প ছেড়ে
পাঁচবিবি থানায় চলে আসে।
১৯৭১
সালের ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোত্তালেব সদলবলে পাঁচবিবি থানায়
গিয়ে দেখেন হানাদার বাহিনী ৪৫টি রাইফেল রেখে পালিয়ে গেছে। তিনি তৎক্ষনাত
পাঁচবিবি লাল বিহারী (এল,বি) উচ্চবিদ্যালয়ে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। ২০১২
সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment