একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরপ্রবি)
শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার ও
হয়রানি এবং শামস জেবিনের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ
করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।
বুধবার
দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অনুষ্ঠিত
মানববন্ধনে ওই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরা
হয়।
মানববন্ধনে রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির (রুরু) সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদের
সঞ্চালনায় সভাপতি মর্তুজা নূর বলেন, ওই ঘটনার পর ক্যাম্পাস সাংবাদিক
ফেডারেশনের দেয়া আল্টিমেটামে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ
প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু পুরো দায়ভার চাপিয়ে দেন তার উপর।
প্রধানমন্ত্রী ও সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদেরকে বলতে চাই, ঘটনার সুষ্ঠু
বিচার না হলে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সুজন আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত জ্ঞান চর্চার
জায়গা। নাগরিক হিসেবেও প্রত্যেকে তার মুক্তমত প্রকাশের অধিকার রাখেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র পুরোই উল্টো। শুধু ফেসবুকে মত প্রকাশ করার
কারণে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। গণতান্ত্রিক দেশে এমন বিষয়
হাস্যকর বলে আমরা বুঝতে পারি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মানিক রায়হান বাপ্পী বলেন, পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যারাই পরিচালকের আসনে
উপবিষ্ট হচ্ছেন তারাই আইন কানুন তোয়াক্কা করছেন না। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে
এসব বিষয় তুলে ধরতে গেলে স্বার্থরক্ষার কারণে তাদেরকেও জিম্মি করা হচ্ছে।
জিনিয়ার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। জিনিয়া পক্ষ নেয়ায় তাকেও মারধর ও নির্যাতন
করা হয়। আমরা সেসব স্বার্থবাদী ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি
করছি।
মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে,
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকেই বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য খোন্দকার মো.
নাসিরুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা।
এর আগে,
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে বশেমুরবিপ্রবি'র শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক
ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার ও বিভিন্ন হয়রানি করেন উপাচার্য
খোন্দকার মো. নাসিরুদ্দিন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় শামস জেবিনের উপর
দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এতে দেশব্যাপী সমালোচনার তোপে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ
প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া ও শামস জেবিন দ্যা ডেইলি সান
এবং আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment