একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:>>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রী কে দুর্বৃত্তরা গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ছনুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছেলবন এলাকার ছালে আহমদ সিকদার পাড়া সড়কের উপর।
আহত মাদ্রাসা ছাত্রী ইয়াছমিন আক্তার (১৪)কে ইউপি সদস্য নুরুল আবছার সিকদার, ইউপি সদস্য ও মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য নিযুয়ান ও শিক্ষক মো. শাহ জাহান মেয়টি কে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইউনুসের সাথে পার্শ্ববর্তী ছাবের আহমদের সাথে দোকানে মালামাল ক্রয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে। মো. ইউনুসের কন্যা ইয়াছমিন আক্তার রাজাখালী বি ইউ আই ফাযিল মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। গত বুধবার সকাল ৭ টার দিকে নির্বাচনী পরীক্ষা উপলক্ষে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ইয়াছমিন আক্তারকে গাছের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে।
এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন হতবাক হয়ে পড়ে। ছনুয়া এলাকার স্থানীয় কতিপয় যুবক আইন শৃংখলা বাহিনীর ৯৯৯ এ ফোন করে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানায়। পরে বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদারের নির্দেশে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতার সহযোগিতায় আহত ইয়াছমিন আক্তারকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইয়াছমিন আক্তার বলেন, মাদ্রাসা যাওয়ার পথে আমাকে রাস্তা থেকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে ছাবের আহমদ, নিখাত, রুবি ও আরো ২/৩ জন লোক গাছের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিভাবে নির্যাতন করেছে তা ভাষায় বলা যাবেনা। বাঁশখালী হাসপাতালের (টিএইচও) পরিবার ও পরিকল্প কর্মকর্তা ডাক্তার কমরুল আজাদ বলেন, আহত মাদ্রাসা ছাত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত ছাত্রীর পিতা মো. ইউনুছ বলেন, ছাবের আহমদ আমার একই এলাকার লোক। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আহত মাদ্রাসা ছাত্রী ও হামলাকারী পরিবারের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর বান্ধবীর মধ্যে খারাপ ব্যবহার করা নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এব্যাপারে আহতের পিতা ইউনুস যথাক্রমে সাবের আহমদ, ছকিনা আক্তার ও রুবি আক্তারকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment