এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লায় পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে ৩ ডাকাত নিহত হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয়েছে বুড়িচং থানার ওসিসহ পুলিশের ৪ সদস্য।
কুমিল্লায় পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে ৩ ডাকাত নিহত হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয়েছে বুড়িচং থানার ওসিসহ পুলিশের ৪ সদস্য।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল,
গুলি, রামদাসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়,
জেলার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লা গ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি
নিচ্ছিল। এমন খবরে ওই এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে
ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং গুলি ছোড়ে।
এতে পুলিশও
আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাতদলের ৩ সদস্য আহত
হয়।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হচ্ছেন- জেলার দেবিদ্বার
উপজেলার চরবাকর গ্রামের বাবুল ওরফে তরকারি বাবুল (৩৯), ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলার গোপালনগর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদুল ওরফে আছাদুল (২৭) ও
বুড়িচং উপজেলার জগতপুর পুর্বপাড়া এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে অলি মিয়া
(৪৩)।
এসময় আহত হন বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাসসহ পুলিশের ৪
সদস্য। আহত অপর সদস্যরা হচ্ছেন- বুড়িচং থানার এসআই মোয়াজ্জেম, এএসআই গোলাম
মহিউদ্দিন ও কনস্টেবল রফিক। জেলা ডিবি’র ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান,
ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, ১ রাউন্ড গুলির খোসা, ১টি
পাইপগান, ৫ রাউন্ড বন্দুকের তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড খালি খোসা, ৬টি কাঠের
বাটযুক্ত ছোড়া ও রামদা, ৩টি মোবাইল, ২টি টর্চলাইটসহ ডাকাতির বিভিন্ন
সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ডাকাত সদস্য প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা,
অস্ত্র, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় ৫টিরও
অধিক মামলা রয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment