একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:>>>
রহস্যজনক অগ্নিকা, আহতদের দাবি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় এক বাসায় রহস্যজনক অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ৬ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।=
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল ইসলাম নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিকা-ের সূত্রপাত জানা না গেলেও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে আহতদের দাবি।=
গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে চান্দগাঁও থানার চেয়ারম্যান ঘাটার মফিজ সওদাগর বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধে নিহত নজরুল ইসলামের (৪৫) গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়।=
এছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন নজরুলের মা মনোয়ারা বেগম (৬৫), স্ত্রী জুবাইদা আক্তার কলি (৩০) নজরুলের ছেলে আজবির হোসেন (১৩), বোন সেলিনা আক্তার কলি (৩০), ভাগিনা হেজাজ উদ্দিন (৩)। চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘সিএমপি’র বমডিসপোজল (বোমা নিষ্ক্রিয়করণ) ইউনিট, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোন টিম অগ্নিকা-ের সূত্রপাতের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো চিহিৃত করতে পারেনি’।=
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, নজরুল ইসলামের শরীর শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মনোয়ারা বেগমের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। সেলিনা কলির শরীরের ১৫ ভাগ, জুবাইদা কলির ১৭ ভাগ পুড়ে গেছে।=
এছাড়া হেজাজের ২৫ ভাগ এবং আজবিরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। দেখা যায়, ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। বাসার চারটি কক্ষের কাপড়-চোপড়, জানালার পর্দা, বইপত্র পুড়ে গেছে। আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে।=
একই ভবনের দুই বাম দিকে থাকতেন নজরুলের পরিবার। আর ডানদিকে একটি কক্ষে থাকতেন ভাই খালেকুজ্জামানের পরিবার। দুই ভাই-ই কর্ণফুলী ইপিজেডে গার্মেন্টশ্রমিক। নজরুলের ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন আকতার বলেন, ‘সকালে প্রচ- শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠে দেখি পাশের কক্ষে আগুন জ্বলছে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই শিশুকে নিয়ে নিচে নেমে যাই। এরপর আর কিছুই বলতে পারি না’।=
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. মো. নাফিজ আলম বলেন, সবার শ্বাসনালি কমবেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। শুধু আজবিরের শ্বাসনালি কিছুটা অক্ষত রয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।=
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, অগ্নিদগ্ধ ৬ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে নজরুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দগ্ধ জুবাইদার বড় বোনের স্বামী আবদুল আজিজ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় তার বোনের বাসার সবাই আগুনে দগ্ধ হয়েছে। আমি অফিস থেকে হাসপাতালে ছুটে যাই। হাসপাতালে গিয়ে দেখি নজরুল মারা যায়।=
একুশে মিডিয়া/এমএসএ=
No comments:
Post a Comment