একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:>>>
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। পরে হ্যাপী চৌধুরী নামের এক নারীর প্রতিও তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন।
কুমিল্লার লাকসাম থানাধীন সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী’র সঙ্গে ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয় খুলনার খালিশপুর নতুন কলোনীর মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে নাছরিন আক্তার রুমার
এসব বিষয় জানার পর প্রতিবাদ করায় স্ত্রী রুমাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন রেফায়েত। কেড়ে নেওয়া হয় দুই কন্যা রাইসা বিনতে চৌধুরী (১৭) ও নানজীবা চৌধুরীকে (১১)। রুমার প্রয়াত বৃদ্ধ বাবাকেও নির্যাতন করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা হলে কারাগারেও যেতে হয় পটিয়া থানা থেকে ক্লোজড হওয়া রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীকে।
বর্তমানে তিনি রাজশাহী রেঞ্জের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। স্ত্রীর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে রেফায়েত উল্লাহর অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর তার নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে ১২টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়া তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে পাওয়া যায় ৬টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য। রেফায়েত ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রী রুমার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেন।
পরবর্তীতে স্ত্রী রুমার ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত টাকা নিজের নামীয় বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করেন। এছাড়া তার ব্যাংক হিসাব থেকে ভাই আফতাব উল্লাহ চৌধুরীকে ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ২টি পে-অর্ডার প্রদান করেন ও আফতাবের নামে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট কেনেন।
ঘুষের টাকায় নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় ২০১৬ সালে জুমাইরা গ্রান্ড ক্যানিয়ন নামীয় একটি আবাসন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভবনের পঞ্চম তলায় ২১৫০ বর্গফুট আয়তনের এ-৪ ফ্ল্যাট কেনেন স্ত্রীর নামে। ১০৫ বর্গফুট আয়তনের পার্কিংও রয়েছে রেফায়েতের নামে। অর্ধকোটি টাকায় কেনা ওই ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে আয়বহির্ভূত দুই কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জন এবং এর মধ্যে এক কোটি ৬৯ টাকা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইন্সপেক্টর রেফায়েত ও তার ২ ভাই মো. আফতাব উল্লাহ চৌধুরী এবং মো. হাফিজ উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রোববার (১৩ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বাংলানিউজ সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment