ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
রাজশাহীর বাঘায় মাদক বিরোধী অভিযানের সময় আসামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার পুলিশ ও এক সোর্স আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন হামলাকারি মাদক ব্যবসায়ী।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ভানুকর গ্রামে এ ঘটনায় আহতদের চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী মিলন হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, বাঘা থানার এসআই লুৎফর রহমান, এএসআই নুরনবী, এএসআই মাসুদ ইকবাল, এএসআই রেজাউল করিম। এছাড়াও আহত হন পুলিশের অভিযানে অংশ নেয়া সোর্স শরিফ আহাম্মেদ (৪৫)। আর পুলিশের গুলিতে আহত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মিলন হোসেন (৩২)।
চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহাবুল আলম বলেন, মিলনের ডান পায়ের হাটুর নিচে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও আহত পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে তারা ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের জখম গুরুতর নয় বলে জানান এই চিকিৎসক।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভানুকর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রিপন হোসেনের (৩৫) বাড়ি থেকে একই গ্রামের মাসুম হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২) ফেনসিডিলের একটি চালান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে বাঘা থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিপন হোসেন পালিয়ে যায়। তবে মিলন হোসেন ওই বাড়ির একটি ঘরে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে আত্মগোপন করে।
ওসি বলেন, কৌশলে পুলিশ মিলন হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে ধারালো হাসুয়া দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চার পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নুরে আলমের নেতৃত্বে অতিরক্তি পুলিশ গিয়ে তাকে আত্মসমর্পনের আহবান জানায়। কিন্তু পুলিশের আহবানে সাড়া না দিলে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে মিলন পয়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিদ্ধি অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় ওই ঘরে তল্লাশী করে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment