এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
"মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একটু সহযোগিতা মানুষ কি পেতে পারেনা"" হ্যা সহযোগিতা প্রদানের মত মানবিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ এখনো আছে বলেই টিকে আছে মানবতা।বলতেছিলাম এমনই এক মানবিক ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম বার (পিপিএম) এর আর্তমানবতার আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
উল্লেখ্য ঢাকা চারু কলার সামনে বংশিবাদক রুবেলের ২য় শ্রেনীতে পুড়ুয়া ছাত্র সানি সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে চার মাস স্কুলে যেতে পারছে না,সানির মায়ের গহনা সহ সর্বোচ্চ খরচ করেও চিকিৎসার হচ্ছে না শিশুটির।
এ খবরটি মিডিয়ার কল্যানে চোখে পড়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলামের। কিন্তু রুবেলের অস্থায়ী-স্থায়ী ঠিকানা কিংবা যোগা যোগের কোন মাধ্যম ছিলো না। তবুও এই পুলিশ কর্মকর্তা বংশীবাদক রুবেল আহমেদকে খুঁজতে লাগলেন।
সবশেষে পেয়েও গেলেন।তারই ধারাবাহিকতা ৩০ই অক্টোবর বুধবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার বংশীবাদক রুবেলকে ডাকলেন। বাবার সাথে স্ক্রেচে ভর দিয়ে পুলিশ সুপারের কাযার্লয়ে আসলো সানিও।বংশীবাদক রুবেল আহমেদ যখন তার ব্যাগ থেকে বাঁশি বের করলেন তখন বাঁশিগুলোতে রুবেলে বাবা লাবু মিয়ার স্টিকার লাগানো ছিলো।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ছো মেরে একটি বাঁশি নিয়ে বললেন এত দেখি লাবু মিয়ার বাশি। তুমি কোথথেেকে পেলে। বংশী বাদক রুবেল জানালেন, লাবু মিয়া আবার বাবা। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশের এই লাবু মিয়ার থেকে রমনার ডিসি থাকাকালীন সময়ে কত যে বাঁশি কিনেছেন।পরে রুবেলের মুখ থেকে দূর্ঘটনার বিস্তারিত শুনে সানির চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা দিলেন।
রুবেলকে কাছে নিয়ে বললেন যদি তারপরেও আরো কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে যেন তিনি পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম কে জানান।পুলিশ সুপার মো:সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, অতীতের তুলনায় আমাদের এখন সমাজের অনেকের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে। এই স্বচ্ছলতা কিংবা পেশাগত জীবনে যদি আপনার কাজকর্ম অন্যর কল্যানে কাজে না লাগে তাহলে এ জীবনের কোন স্বার্থকতা নেই।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment