একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :>>>
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বলরাম পুর রোডে ফয়লা তে অবস্থিত ভুয়া প্রতিষ্ঠান "লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলোজি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট "এর ভুয়া প্রতারণা মূলক ভাবে প্রশিক্ষনের নাম করে এলোপ্যাথ সনদ বিক্রয় করে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ লাফ ঝাপ শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ডাক্তার নাম ধারী রাজীব কিশোর।
এমনকি নিউজটা দৈনিক সত্যপাঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ভঁয় দেখান সহ সে দাবী করে যে অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ার কারনে স্বার্থনেশী মহলের সুবিধার জন্য "লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলোজি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট " এই সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে। সেই সাথে সে আরও দাবী করে যে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন তার "লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলোজি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট "তে যেয়ে সনদ বিতরণ করে এসেছে।
রাজীব কিশোরের দাবীর প্রেক্ষিতে রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সরাসরি ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন সেলিনা বেগমের সাথে কথা বললে সেলিনা বেগম প্রথমে রাজীব কিশোরকে চিনতেই পারে না। পরে ফেসবুকে রাজীব কিশোরের দেওয়া ছবি দেখালে সে বলে যে এই ব্যাক্তি সে যখন চৌগাছায় ছিল তখন পল্লী চিকিৎসক প্রশিক্ষণের রিপ্রেস ট্রনিং উপস্থিত ছিল। এইটা সেই ছবি।
রাজীব কিশোর একবার এক রোগির পলিপাস চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তখন তাকে তার প্রশিক্ষণের সনদ দেখাতে বললে সে কিছুই দেখাতে পারে না। সে নিজেই কোন ডাক্তার না। আমি এখানে আসার পর তার ঐ প্রতিষ্ঠান আমি চিনি না। আপনার নিকট থেকেই জানতে পারলাম। তবে সে পল্লী চিকিৎসার অনুমতি নেওয়ার জন্য আমার নিকট এসেছিল আমি তাকে আগেই জানার কারনে অফিস থেকে বাহির করে দিয়েছি।
এখন আমি অতিসত্বর ঐ ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব। সে আমার ছবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন দাবী করে। সে আরও জানায় রাজীব কিশোর প্রশিক্ষণের যে কাগজ পত্র সাথে নিয়ে আসে তার মধ্যে ব্যাপক গড় মিল ছিল। যেমন একই সময়ে ঢাকা এবং খুলনাতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। কোন প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষ করেনি।
যেহেতু তার কাগজ পত্র ঠিক নেই তাই সে আপনাকে দেখাইনি। এই সময়ে অফিসে ডাঃ প্রসেনজিৎ পার্থ সহ বেশ কয়েক জন উপস্থিত ছিল।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment