এইচ এম শহীদ পেকুয়া থেকে:>>>
কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগাম ভোট করার ঘোষনা দিলেন তরুন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবি এড.রাশেদুল কবির। সাধারন জনগন আগামিতে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এডভোকেট রাশেদকে।
উপজেলার সবচেয়ে মর্যাদাপুর্ন ইউনিয়ন পেকুয়া সদর ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন এ খবর এখন চাউর হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া চলছে পেকুয়ায়। সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টানের তপশীল ঘোষনা দেননি। তবে আগামী নির্বাচনে কে প্রার্থী হচ্ছেন এ নিয়ে পেকুয়ায় আগাম আলোচনা চলছে ভোটের মাঠে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য দৃঢ় স্থির হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে ভোট করবেন কোন পলিসিতে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষন করা যায় সে চিন্তাধারা নিয়ে প্রার্থীরা মাঠে ছুটছেন। পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ভোটের আমেজ দেখা দিয়েছে। ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার ঘোষনা দিয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে তরুণ আইনজীবি এড. রাশেদুল কবির প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার পিতা এড. কামাল হোসেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এডভোকেট কামাল হোসেনের সন্তান ওই রাশেদুল কবির। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ও সমগ্র উপজেলায় পিতা এড,কামাল হোসেন ও এ পরিবারের সম্মান মর্যাদা অন্যদের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ। রাশেদুল কবির প্রার্থী হচ্ছেন এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গ্রাম গঞ্জে চমকপ্রদ ও উচ্ছাস বিরাজ করছে। তাকে মানুষ নতুন প্রজন্মের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবেও বলতে শুরু করেছেন।
তরুণ রাজনীতিবিদ এড,রাশেদ পেকুয়ায় বেশ সমাদৃত। তিনি অনেক আগে থেকে এলাকায় মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরী করেছেন। সমাজ সেবা ও আন্তরিকতায় মানুষের দৃষ্টিতে আকৃষ্ট। এড,কামাল হোসেন পেকুয়া সদর থেকে তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অবকাঠামো উন্নয়ন আর্তসামাজিক পরিবর্তনের জন্য পিতার চেয়ারম্যান সময় ছিল পেকুয়ায় পরিবর্তনের নতুন স্বপ্ন ধারা।
রাস্তাঘাটের উন্নয়ন একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রশাসনিক বিন্যাস ছিল পিতার চেয়ারম্যান সময়ে যুগান্তকারী উদ্যোগ। মানুষ এড, কামাল হোসেনকে পেকুয়ায় ন্যায় বিচারক হিসেবে চিনে। তিনি কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হন। আদর্শিক পিতার সন্তান হিসেবে রাশেদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার এ ঘোষনা পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নে চমক সৃষ্টি হচ্ছে।
এডভোকেট রাশেদ পেকুয়ায় বলিষ্ট নেতৃত্ব। তিনি একদিকে সমাজ সেবক অন্যদিকে একজন সামজ সংষ্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি অত্যাচার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কখনো আপোষ করেননা। ইতিমধ্যে অনেক উন্নয়ন ও দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের কাছে ছুটে এসেছে।
গত দুটি বন্যায় এডভোকেট রাশেদ উপদ্রব এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। তিনি মানুষের কাছে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। নিজ অর্থায়ন থেকে রিলিফ বিতরণ করেছেন। রমজানে দু:স্থ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রীও বিলি করেছেন। এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কাপড় বিলি ও শীতার্তদের মাঝে কম্বলও বিতরণ করেছেন। এ ছাড়া চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষকে দিয়েছেন আর্থিক সহায়তা। গৃহহীন মানুষকে পুন:বাসন সহায়তা করেছেন।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীকে আইনী সহায়তা দিয়ে বিচার পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আইনী পরামর্শ ও দুর্বল মানুষকে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। পিতা আ’লীগের রাজনীতির পেকুয়াসহ জেলার অন্যতম নীতিনির্ধারক।
আদর্শিক পিতার সন্তান হিসেবে তার মাঝে ব্যাপক স্বদেশপ্রেম আছে। মানুষ এডভোকেট রাশেদকে নিয়ে দারুন আগ্রহী। তার মাঝে কাজের ও উন্নয়ন দেখছেন মানুষ। তাকে নতুন ধারার স্বপ্নদ্রস্টা হিসেবে বলছেন পেকুয়া সদরের ভোটাররা। এ তরুন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবিকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বাসী।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment