একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:>>>
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল গতকাল শনিবারও চার্জ হস্তান্তর করেনি। বৈধ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান শনিবার ৯.২০ টার সময় কলেজে গেলে তার কাছে চার্জ হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ সময় মজিদ মন্ডল অধ্যক্ষ মাহবুবকে জানিয়ে দেন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি চার্জ দিবেন না। অধ্যক্ষ ড. মাহবুব তাকে জানান, আমি ইউএনওর কাছে যোগদান করেছি। এখন চার্জ হস্তান্তর করুন। অধ্যক্ষের এ কথা শুনে সচতুর মজিদ মন্ডল ইউএনওর কাছে ফোন দেওয়ার নাম করে স্থানীয় এমপিকে ডেকে আনেন।
উল্লেখ্য চার্জ না দেওয়ায় কারণ কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহামন্য হাই কোর্ট তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার পুর্বক অধ্যক্ষ পদে যোগদান করার নির্দেশ দিলেও আব্দুল মজিদ মন্ডল দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না।
এমতাবস্থায় মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশ প্রতিপালন না করায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর ১৮.১ (গ) ধারা মোতাবেক কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
২০১৮ এর ১৮.১ (গ) ধারায় বলা হয়েছে মিথ্যা তথ্য প্রদান, ভুয়া শ্রেনী খুলে ছাত্র প্রদর্শন, অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আপীল ও অরবিট্রেশনের সিদ্ধান্ত প্রতিপালন না করলে বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) মোঃ আব্দুল কাদের মহাপরিচালকের পক্ষে গত ১৫ অক্টোবর এই চিঠি দেন। কিন্তু এই চিঠি তিনি পান নি বলে মজিদ মন্ডল জানান।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হজ্বব্রত থাকাকালে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ নিয়ে একাধিক তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু ড. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহামন্য হাই কোর্টে প্রমানিত হয়নি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment