রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সম্পাদক মাহাতাব বিজয়ী - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 5 October 2019

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সম্পাদক মাহাতাব বিজয়ী


ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। শনিবার সকাল ১০টায় নির্বাচনের এই ফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনের ১১টি পদের মধ্যে ৮টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বাকি তিন পদের ভোট গণনা শেষ হয়নি বলে ফলও ঘোষণা হয়নি। তবে শনিবার সকালে ৮টি পদের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট রবিউল হক কাঁকর।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর আলম দোয়াত কলম প্রতীকে ১ হাজার ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাতাব হোসেন চৌধুরী স্টিমার প্রতীকে ১ হাজার ৬০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ঘোষিত অন্য ছয় পদের মধ্যে সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো: গাজী, কোষাধ্যক্ষ পদে জহুরুল ইসলাম জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো ফেরদৌস, দপ্তর সম্পাদক পদে পরিমল দাস, সহদপ্তর সম্পাদক পদে শংকর কুমার তালুকদার, সাংষ্কৃতিক, ক্রীড়া ও প্রচার সম্পাদক পদে গোলাম আজম জুলমত নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন নাইস কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করেন ১১১ জন। নির্বাচনের মোট ভোটার ছিলেন তিন হাজার ৪২০ জন।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৭ সালের ২৪ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। সেদিন ভোট গণনা শেষ হলেই বহিরাগত একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়। মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনারদেরও। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছিল মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। অবশেষে গত ২২ জুন রাজশাহী এসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দায়িত্ব দিয়ে যান। গঠন করা হয় নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটিও। তিন মাসের মাথায় সেই কমিটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করলো।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটু মারামারির ঘটনা ঘটলেও সেটা কেন্দ্রের বাইরে। কেন্দ্রের ভেতরে কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। ভোট গণনা শেষ হওয়া মাত্রই বাকি তিন পদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages