মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা:>>>
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার সদর ও চরফ্যাশন উপজেলায় মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করার সময় মাছ ও কারেন্ট জালসহ ১০ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ২১ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। তবে কোনো জেলেকে আটক করা যায়নি।
বুধবার ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন ও চরফ্যাশনের মো. রুহুল আমিন পৃথকভাবে এসব অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ভোলা সদরের মো. সিরাজ মাঝি (৪৫), মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৫০), দুলাল হাওলাদার (৩০), হান্নান মোল্লা (১৯) ও আ. রহিম ৩২)। চরফ্যাশনের মো. কামাল (৩০), মো. বেলাল (২০), মো. রশিদ (৪০), মো. জসিম (৩২) ও মো ইলিয়াস (২৫)। এরা চরফ্যাশন উপজেলার ফাতেমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ভোলা সদরের তুলাতলি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ৫ জেলেকে ৫ হাজার মিটার জালসহ এবং চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ এলাকায় ৫ জেলেকে ১ হাজার মিটার জাল ও ৫ কেজি মা ইলিশসহ আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোলা সদরের ৫ জেলেকে ১ বছর এবং চরফ্যাশন উপজেলার ৫ জেলেকে ১ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, একই সময় তজুমদ্দিন থেকে ২০ হাজার ও মনপুরা থেকে ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment