পুলিশী বাঁধাও উপেক্ষিত! বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 16 October 2019

পুলিশী বাঁধাও উপেক্ষিত! বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ


একুশেী মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:>>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলক‚প ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধপূর্ণ জায়গায় উভয় পক্ষকে সংস্কার কাজ ও স্থাপনা নির্মাণসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখতে আদালতের নির্দেশে পুলিশ নোটিশ জারি করে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করলেও আদালত ও পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঘটনাস্থলে সরজমিনে পরিদর্শনকালে জানা গেছে, উপজেলার শীলক‚প ইউনিয়নের পশ্চিম মনকিচর গ্রামের ২০ শতক জায়গা নিয়ে স্থানীয় মো. আবদুল আউয়াল ও মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মো. আবদুল আউয়াল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) এ মোহাম্মদ আব্দুল শুক্কুর গংদের বিরুদ্ধে মামলা (মিছ-১১২৬/১৯ইং) দায়ের করে। উক্ত মামলায় আদালত উভয় পক্ষকে নালিশী জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, খাল খনন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংযোজনসহ সকল প্রকার কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করলেও মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর গং ওই জায়গা জোর পূর্বক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জায়গা পাকা দালান নির্মাণের খবর পেয়ে আদালতের নির্দেশে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই মাহবুব উল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থাপনা নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে আবদুল শুক্কুর গংদের নির্দেশ দিলেও তারা সেই নির্দেশ মানছে না। অনেকটা গায়ের জোরেই আদালত ও পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে দালান নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। 
এ ব্যাপারে মো. আবদুল আউয়াল জানান, ‘আমাদের জায়গায় রাতারাতি বসত ভিটার মাটি কেটে জবর দখলের পাশাপাশি বর্তমানে ওই জায়গায় পাকা দালান নির্মাণ করছে আবদুল শুক্কুর ও তার লোকজন। এই নিয়ে আমরা আইন আদালতের আশ্রয় নিলে তারা আদালত ও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নিলে দখলদাররা স্থাপনা নির্মাণ করতে সাহস পেত না।’
এ বিষয়ে মো. আবদুল শুক্কুর জানান, ‘জায়গাটি আমরা খরিদ করে বসতভিটা তৈরী করার পর বর্তমানে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ চালাচ্ছি। এই নিয়ে আবদুল আউয়াল আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত বিষয়ে আমরা আপোষের চেষ্টা করলেও তারা বৈঠকে আসেনি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দিতে পারেননি।’ 
বাঁশখালী থানার এসআই মাহাবুব আলম জানান, ‘আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ জারি করেছি। তারপরেও যদি কেউ আইন লংঘন করে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages